সুন্দরবন ও পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ও নতুনকরে জ্বালানী গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টার প্রতিবাদে খেলাফত মজলিস ঘোষিত দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচীতে বক্তারা বলেছেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্য সুন্দরবনকে ধ্বংস করার জন্যে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভারতের স্বার্থে সুন্দরবনের পাশ্ববর্তী রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে এখান থেকে নিয়মিতভাবে লক্ষ লক্ষ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড, ফ্লাই এ্যাশ উৎপন্ন হবে। হাজার হাজার টন সালফার ডাই অক্সাইড, নাট্রোজেন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হবে। এতে সুন্দরবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র বিনষ্ট হবে। বায়ু, পনি, মাছ, গাছ মারত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।স্থানীয় মানুষের জীবন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
বক্তারা বলেন, এ প্রকল্পে ১৫ ভাগ অর্থ বিনিয়োগ করে ৫০ ভাগ লাভ পাবে ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পনী- এনটিপিসি। এ প্রকল্পে বাংলাদেশের লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমান বেশী। পবিরেশের কথা বিবেচনা করে খোদ ভারতই এই কোম্পানীর একই প্রকল্প প্রস্তাব প্রত্যাক্ষান করেছে। সুতরাং বাংলাদেশের জন্য অলাভজনক এবং পরিবেশ বিশেষ করে সুন্দরবনের জন্যে ক্ষতিকর রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করতে হবে। ভারতের স্বার্থ আমাদের অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ সুন্দরবন নষ্ট হতে দেয়া যায় না। তাই দেশ ও পরিবেশের জন্যে ক্ষতিকর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধ করতে হবে।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিবাদ দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগরী, খুলনা মহানগরী ও জেলা, বরিশাল মহানগরী, চট্টগ্রাম মহানগরী, রংপুর মহানগরী ও জেলা, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলায়, হবিগঞ্জের বাহুবল ও চুনারুঘাট, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, মুন্সীগঞ্জ জেলাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শাখায় মিছিল, মানববন্ধন, মতবিনিময়, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।