তুরষ্কের কামালের শাসন চলাকালীন সময়ে টুপি মাথায় কাউকে দেখলে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হতো। স্কুলের বাচ্চাদেরকেও টুপির পরিবর্তে ইউরোপীয়দের মতো হ্যাট পড়তে বাধ্য করা হয়। কোনো এক স্কুলের বাচ্চাদের টুপি খুলে হ্যাট পড়তে দিলে বাচ্চারা তা ছুড়ে ফেলে। কামালের নির্দেশে সে স্কুলের সকল (৬০০-৭০০) শিশুকে স্কুলের পেছনে ঝর্ণার কাছে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
শহীদ শেখ সাইদ পীরান
যারা মুসলমান দাবি করেও তুরষ্কের সেক্যুলারদের প্রতি এরদোগানের কঠোরতা দেখে ইতস্তত করছে, তারা এইসব ইতিহাস জানে না। তুরষ্কে খিলাফত বিলুপ্ত করার পর কুর্দীদের একজন ধর্মীয় নেতা শেখ সাইদ পীরান তার অনুসারীদের নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী কামালের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। কামাল (লানাতুল্লাহি আলাইহি) সেই বিদ্রোহকে কঠোর হস্তে দমন করে এবং বিদ্রোহীদের গণফাঁসি দিয়ে শহীদ করা হয়। বিদ্রোহের নেতা শেখ সাইদ পীরানকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করা হয়। ‘শেখ সাইদ রেবেলিয়ন’ নামে পরিচিত এই বিদ্রোহে কামাল প্রায় ৪০ হাজার থেকে আড়াই লাখ মুসলমানকে শহীদ করেছিল বলে উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে।
তুরষ্কের তিনবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন আদনান মেন্ডারিস। কামালের সময় হতে আরবীতে আযান দেয়া নিষিদ্ধ ছিল, আদনান মেন্ডারিস আইন পাস করে ফের আরবীতে আযান দেয়ার অধিকার ফিরিয়ে আনেন। সে কারণে সেক্যুলার আর্মি তার বিরুদ্ধে ক্যু করে তাকে উৎখাত করে। আদনান মেন্ডারিসকেও ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করেছিল সেক্যুলাররা।
আজকে মুসলমানদের নেতা হিসেবে এরদোগানের কর্তব্য, পূর্বের সেক্যুলার ও নাস্তিকেরা মুসলমানদের উপর যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তার প্রতিশোধ নেয়া। এরদোগান যেন ইইউ আর ন্যাটোকে উপেক্ষা করে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশ করে সেক্যুলারদের শাস্তি দেন, মুসলমানদের সেই আহবানই জানাতে হবে। কারণ মুসলমানদের টিকে থাকার জন্যই তাদের কাফিরদের প্রতি কঠোর হওয়া দরকার। মিশরের মুরসি নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রশাসন ও মিলিটারি থেকে সেক্যুলারদের সরানোর কঠোরতা দেখাতে পারেননি, ফলশ্রুতিতে যা হওয়ার তা সবাই দেখেছে। এরদোগান নিশ্চয়ই অন্যদের মতো সেই ভুলটি করবেন না।