
‘উগ্রবাদী’ সন্দেহে সিলেট থেকে গ্রেফতার পাঁচ জনের দুই জন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) শিক্ষার্থী।
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ধারণা করছে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন নব্য জেএমবির সদস্য।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) বিকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সিলেটে আমাদের একটি টিম গেছে। তাদের গ্রেফতার করে ঢাকায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত বিষয় নিশ্চিত করে বলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারদের মধ্যে নাইমুজ্জামান ও সাদি নামে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র রয়েছে। এর মধ্যে নাইমুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ও সাদি পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
নাইমুজ্জামান নব্য জেএমবি সিলেটের আঞ্চলিক কমান্ডার বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত সিলেট শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ‘উগ্রবাদী’ সন্দেহে পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে নাইমুজ্জামান ও সাদি শাবি শিক্ষার্থী। আরেকজন সিলেটের মদনমোহন কলেজের সায়েম নামক এক শিক্ষার্থী। এছাড়া বাকি দুই জনের বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও জানা যায়নি।
এদিকে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকার শাপলাবাগে ‘উগ্রবাদীদের আস্তানা’ বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার শাপলাবাগের ৪০/এ শাহ ভিলা ঘেরাও করা হয়।
এর আগ রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর জালালাবাদ এলাকার ৪৫/১০ লোহানী হাউজে আটক সানাউল ইসলাম সাদিকে নিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, অভিযানে বোমা বানানোর সরঞ্জামসহ একটি শক্তিশালী আইইডি পাওয়া গেছে।