
রাশিয়ার এইএম-টেকনলজিসের পেত্রোজাভোদস্কমাস শাখা বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ এর জন্য প্রধান সার্কুলেশন পাম্পের হাউজিং পাঠানো শুরু করেছে।
এসব সরঞ্জাম সড়ক পথে সেন্ট পিটার্সবার্গে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে জাহাজে করে বাংলাদেশের বন্দরে পাঠানো হবে।
গত ১৪ অক্টোবর জিও-পদলস্ক (অটোমেনেরগোমাস-এর অংশ) জানায় যে, তারা রূপপুর প্লান্টের ইউনিট-২ এর জন্য একসেট গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম জাহাজে করে পাঠিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইমার্জেন্সি কোর কুলিং সিস্টেমের (ইসিসিএ) দুটি ট্যাঙ্ক ও দুটি হাই-প্রেশার হিটার পিভিডি-কে-৫ ও পিভিডি-কে-৬। পাঠানো সরঞ্জামের মোট ওজন ৪০০ টন।
প্রতিটি ৭৮ টন ওজনের ইসিসিএস ট্যাঙ্ক হলো প্যাসিভ সেফটি সিস্টেমের অংশ এবং শীলতলীকরণের সময় এটা চুল্লির কেন্দ্রে বরিক এসিডের সল্যুশন সরবরাহ করে।
পিভিডি-কে-৫ ও পিভিডি-কে-৬ হাইপ্রেসার হিটারগুলো হলো টারবাইন হলের অংশ এবং এগুলোর ওজন যথাক্রমে ১১০ টন ও ১৩০ টন। স্টিম জেনারেটরে যে পানি সরবরাহ করা হবে তা গরম করবে এগুলো।
রূপপুর পারমাণবিক চুল্লির টারবাইন হলের গুরুত্বপূর্ণ অংশসহ কম্পার্টমেন্টের সব সরঞ্জাম সরবরাহ করছে অটোমেনেরগোমাস। দুটি ভিভিইআর-১২০০ চুল্লির জন্য এসব তৈরি করেছে রোজাটম।
২০২৩ সালে রূপপুর-১ চুলি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। দ্বিতীয় চুল্লি চালু হবে এর এক বছর পর।
সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর ও এনইআই