
গত ১৫ জুন পূর্ব লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও ১১০ জন। দীর্ঘ ৪৫ বছরের মধ্যে ভারত-চীন উত্তেজনায় এটিই প্রথম নিহতের ঘটনা।
ভারতের অভিযোগ, হিমালয় বেষ্টিত সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের ওপর আক্রমণের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছিল চীন।
দেশটির দাবি, তারা সীমান্তে ভারতের পাশে একটি তাঁবু বানিয়েছে, একটি নদী বাঁধ দিয়েছে, যন্ত্রপাতি এনেছে এবং লাঠি ও পাথরে কাটাতার জড়িয়ে অপেক্ষা করছিল।
এর আগে ভারতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লোহার রডের সঙ্গে তারকাটা লাগানো ছবি ভাইরাল হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সামরিক সূত্রের দাবি অনুয়ায়ী এমন তৈরি অস্ত্র দিয়েই ভারতীয় সেনাদের ওপর হামলা করেছিল চীনের সেনারা।
এদিকে, সংঘর্ষের দিন চীনের হাতে আটক হওয়া ১০ ভারতীয় সেনা সদস্যকে মুক্তি দিয়েছে চীন। তবে চীন দাবি করেছে তারা কোনও ভারতীয় সেনাকে আটক করেনি।
সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় দেশের কূটনৈতিকরা একে অপরকে দোষারোপ করে আসছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, লাদাখের গলওয়ান উপত্যাকা বেইজিংয়ের ভূখণ্ড। সংঘর্ষের স্থানে ভারত একে একে তিনবার সীমান্ত অতিক্রম করেছে।
অপরদিকে ভারতের দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে চীন সীমান্তে আক্রমণ চালিয়েছে। প্ল্যানেট ল্যাবের স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, সংঘর্ষের কয়েকদিন আগে অতিরিক্ত সেনা জড়ো করেছে চীন। এছাড়া একটি নদীতে বাঁধ দিয়েছে। পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ এলাকার কাছে যন্ত্রপাতি জড়ো করতে দেখা গেছে।
সীমান্ত নিয়ে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে সংর্ঘের পরে ১৯৬৭ এবং ১৯৭৫ সালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ৭৫ সালে চীনের হাতে অরুনাচলের গিরিপথে ৪ ভারতীয় সেনা গুলিতে নিহত হন। এরপরে সীমান্তে গুলিতে কেউ মারা যায়নি। চীনের সঙ্গে ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ভারতের। অপরদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নিহতের ঘটনা প্রায় ঘটে চলছে।