নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের তিনটি গ্রুপের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীদের অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার নোয়াখালীর দুটি উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন– উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের মৃত মিজানুর মুহুরী ওরফে কামালের ছেলে মো. রাফেজ (২৫), বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার পৌর হাজীপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে মো. আবুল হায়াত রায়হান ওরফে খালাশী রায়হান (২৬), সদর উপজেলার পশ্চিম শুল্লুকিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মো. ইউনুছ (৪০) এবং একই উপজেলার কাশিপুর গ্রামের মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৯)।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে আওয়ামী লীগের তিনটি গ্রুপ ৬ সেপ্টেম্বর একই স্থানে একই সময়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে। ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার জন্য ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী গ্রুপ, মেয়র শহিদ উল্লাহ খান সোহেলের গ্রুপ এবং অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে ত্রিমুখী ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শর্টগানের নয় রাউন্ড ফায়ার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময়ে অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের এক কর্মী প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে প্রদর্শন করেন। যার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে এ ঘটনায় সুধারাম থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে সুধারাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ওই ভিডিও ক্লিপ সংগ্রহ করে। ভিডিও ক্লিপ পর্যালোচনা করে অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনকারী ছয় মামলার আসামি রাফেজকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ মো. রাফেজসহ চার জনকে গ্রেফতার করে।