সোমবার | ২৯ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতে কথা বলতে চায় ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ৬ দেশ

কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রিটেন (ইউকে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার আনা মামলায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি যৌথ ঘোষণা দাখিল করেছে।

কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং যুক্তরাজ্য সরকারের জারিকৃত এ যৌথ বিবৃতি অনুসারে, কনভেনশনের প্রাসঙ্গিক বিধানগুলির ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এই দেশগুলি আদালতের সামনে গণহত্যা আদালতের সংবিধির ৬৩(২) ধারার অধীনে এই ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার অধিকার প্রয়োগ করছে। তারা আদালতের নজরে এনে বলেছেন, জেনোসাইড কনভেনশনের জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে গণহত্যার অপরাধ প্রতিরোধ করতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদীহিতার আওতায় আনতে তাদের ভূমিকা রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতে গাম্বিয়া এতদসংক্রান্ত কার্যধারায়, গণহত্যাজনিত অপরাধের (জেনোসাইড কনভেনশন) প্রতিরোধ ও শাস্তি সংক্রান্ত কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে। এই অভিযোগে এই যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পরিকল্পিত ‘নিশ্চিহ্ন অভিযান’ চালায় এবং এই অভিযানগুলির সময় সংঘটিত গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল- রোহিঙ্গাদের একটি গোষ্ঠী হিসাবে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে গণহত্যা এবং ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মাধ্যমে ধ্বংস করা, সেইসাথে তাদের গ্রামে আগুন লাগিয়ে বাসিন্দাদের ঘর পুড়িয়ে ফেলার মতো ধারাবাহিকভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো।

কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং ব্রিটেন জবাবদিহিতা এবং আন্তর্জাতিক আইনি আদেশের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং জাতিসংঘের প্রধান বিচারিক অঙ্গ হিসাবে বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তিতে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর জোর দিয়েছে।

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img

সর্বশেষ