অবরুদ্ধ গাজ্জা উপত্যকায় গত ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গণহত্যামূলক যুদ্ধ চালাচ্ছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। যুদ্ধ শুরুর একটি দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনও ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বাহিনী।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে এমনটিই জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেদনে একজন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “গত কয়েক মাস ধরে হামাসের ২০-৩০ শতাংশ যোদ্ধাকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।”
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, “হামাসের কাছে এখনো যথেষ্ট পরিমাণে যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে, যা দিয়ে তারা ইসরাইলের অভ্যন্তরে অথবা গাজ্জায় ইসরাইলি বাহিনীর উপর আক্রমণ করতে সক্ষম। সেই সঙ্গে গাজ্জার বেশ কিছু এলাকায় হামাস তার পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে।”
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, “গাজ্জায় হাজার হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করলেও হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্য পুরনে ব্যর্থ হয়েছে ইসরাইল।”
প্রসঙ্গত, গাজ্জায় গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ হাজার ১০৫ জন ফিলিস্তিনিকে শহীদ করেছে দখলদার বাহিনী। সেই সঙ্গে আহত হয়েছে ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
প্রতিবেদনে সামরিক বিশ্লেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে হামাসের যুদ্ধ কৌশল উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাস খুব ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে অভিযান পরিচালনা করছে। তারা ইসরাইলি বাহিনীর কাছ থেকে লুকিয়ে ও কৌশলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজ্জায় হামাসের পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী ছাড়াও ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মতো যোদ্ধা রয়েছে। গত তিন মাসে এই ৩০ হাজার যোদ্ধাদের মধ্য থেকে ৯ হাজার সদস্যকে হত্যা করতে সমর্থ হয়েছে ইসরাইল।
ইসরাইলের একজন সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে হামাসের প্রায় ১৬ হাজার যোদ্ধা আহত হয়েছে। এর মধ্যে থেকে ৮ হাজার সদস্যর অবস্থা গুরুতর। তারা পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে যোগদানের জন্য সক্ষম নয়।
সূত্র: প্রেস টিভি
