বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ। এদেশের শিক্ষা সিলেবাস হবে মুসলমানদের ঈমান আকিদা ও বিশ্বাসের আলোকে। মুসলিম শিশুদেরকে ঈমানহারা করার কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না এবং শিরকী ও কুফরী কোনো শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে থাকতে পারে না। ইসলাম বিদ্বেষী লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিতে হবে অন্যথায় আগামী প্রজন্মের ঈমান আকিদা রক্ষার্থে মুসলিম জনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে । এতে দেশে কোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে এর দায় দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।
আজ ( ২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় অফিসে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা জালালুদ্দীন বলেন, শিক্ষা সিলেবাসে ট্রান্সজেন্ডার বিষয় অর্ন্তভূক্ত করে ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দিতে চায়। এটা দেশের মানুষ মানবে না। তিনি আরও বলেন, একতরফা প্রহসনের নির্বাচন দেশের মানুষ বর্জন করেছে। নির্বাচনে কারচুপি ও জাল ভোটের অভিযোগ আপনার দলের পরজিত প্রার্থীরাই করেছে। এতে প্রমাণিত হয়েছে এসরকারকে জনগণ চায় না। এ সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বচন দিতে হবে।
তিনি সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী নেতৃবৃন্দের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জিনিসপত্রের যে পরিমান দাম বেড়েছে। এতে দেশে কোনো সরকার আছে বলে মনে হয় না। সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। মানুষ পরিবার চালাতে ঋণে জর্জরিত হচ্ছে। সুতরাং জিনিসপত্রের দাম কমাতে কার্যকরি প্রদক্ষেপ নিতে হবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, প্রকশনা সম্পাদক হারুনুর রশীদ ভূইয়া প্রমুখ।