ইসরাইলী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বিমান বাহিনীর একজন সিনিয়র সেনা গাজ্জাবাসীর দুর্দশার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনশন করেছেন।
গত রোববার থেকে ল্যারি হেবার্ট নামের ওই মার্কিন সেনা হোয়াইট হাউজের সামনে অনশন শুরু করেছেন।
হেবার্ট স্পেনে তার কর্মস্থল ত্যাগ করার সময় থেকে বার্তা লেখা একটি প্ল্যাকার্ড বহন করেছে। বার্তাটি হলো: “বিমান বাহিনীতে নিয়োজিত পদস্থ কর্মকর্তা, গাজ্জার মানুষেরা যখন ক্ষুধার্ত, তখন খাবার মুখে দিচ্ছেন না।”
আমেরিকার এই সেনাও অ্যারন বুশনেলের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে গাজ্জায় ইহুদিবাদী ইসরাইলী অপরাধের প্রতিবাদে অনশন করেছেন।
বুশনেল ছিলেন আমেরিকার বিমানবাহিনীর এক তরুণ পাইলট। ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজ্জায় মজলুম ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলী গণহত্যায় হোয়াইট হাউজের সমর্থন ও সহায়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরাইলী দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুণ ধরিয়ে আত্মহূতি দেন তিনি।
ল্যারি হেবার্ট এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন, গাজ্জার বেসামরিক মানুষেরা ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে, তাদের ওপর বোমা হামলা হচ্ছে, প্রতিটা মুহূর্তে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে, সে কারণেই আমি অনশনে আছি।
অ্যারন বুশনেলের সাহসিকতার প্রশংসা করেতিনি বলেন, অ্যারন বুশনেল যা করেছেন তা ছিল দু:সাহসী এক অভিযান, তার সেই পদক্ষেপ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি তার মধ্যে নিজেকে দেখেছি কারণ সে যা অনুভব করেছিলো ঠিক সেরকম আমিও অনুভব করেছি।
আমেরিকার এই সৈনিক বুশনেলের প্রতিবাদী পদক্ষেপকে অনন্য এবং কার্যকর বলে অভিহিত করে বলেন, যে বিষয়টি আমাকে ক্ষুব্ধ করেছিল তা হলো তার পদক্ষেপের পর সর্বব্যাপী নীরবতা। এমনকি সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর কোনো একজনকেও অ্যারন সম্পর্কে কিছু বলতে দেখলাম না। তারা তার নামটা পর্যন্ত উল্লেখ করেনি। তবে আমি দেখেছি গাজ্জা এবং ইয়েমেনের লোকেরা তার ছবি প্রকাশ করেছে এবং তাকে সম্মান করেছে। সেইসঙ্গে তার জন্য দুঃখ এবং সমবেদনাও প্রকাশ করেছে তারা।
সূত্র : পার্সটুডে
