সোমবার | ১৫ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি ইত্তেফাকের ফরিদা, সাধারণ সম্পাদক আমার দেশের ইলিয়াস

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি, সহ-সভাপতি, দুটি যুগ্ম সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ১১টি পদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগপন্থীরা। অন্যদিকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৬টি পদে বিএনপিপন্থীরা জয়ী হয়েছেন।

সভাপতি পদে ইত্তেফাকের ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক পদে আমার দেশের ইলিয়াস খান নির্বাচিত হয়েছেন। ফরিদা ইয়াসমিন ভোট পেয়েছেন ৫৮১টি, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাসসের কামাল উদ্দিন সবুজ পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। এর ফলে প্রেস ক্লাবের ৬৬ বছরের ইতিহাসে ব্যবস্থাপনা কমিটির শীর্ষ পদে একজন নারী নির্বাচিত হলেন।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস খান পেয়েছেন ৫৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাসসের ওমর ফারুক ভোট পেয়েছেন ৩৯৩ ভোট।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা-ই-জামিল। এ সময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অপর ছয় সদস্য জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান, এসএম শওকাত হোসেন, গৌতম অরিন্দম বড়ূয়া (শেলু বড়ূয়া), শামীমা চৌধুরী ও মনিরুজ্জামান টিপু উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কার্যনির্বাহী কমিটির ১৭টি পদে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে এক হাজার ১৫১ ভোটারের মধ্যে এক হাজার জন ভোট দেন।

সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৭টি পদে ৪১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের মধ্যে ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত ফরিদা ইয়াসমিন-ওমর ফারুক প্যানেল এবং বিএনপিপন্থী কামাল উদ্দিন সবুজ ও ইলিয়াস খান প্যানেল। এ ছাড়া ক্লাবের বিভিন্ন পদে আরও ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

বিজয়ী অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ ৪১৩ ভোট পেয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আজিজুল ইসলাম ভুইয়া পেয়েছেন ৩৬৭ ভোট। সহসভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা পেয়েছেন ৬১৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খন্দকার হাসনাত করিম ৩৪০ ভোট পেয়েছেন। দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদে মাঈনুল আলম ৫৭৭ ভোট ও আশরাফ আলী পেয়েছেন ৩৯৫ ভোট। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নাজমুল আহসান ৩১৫ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কল্যাণ সাহা পেয়েছেন ২৫২ ভোট। কোষাধ্যক্ষ পদে শাহেদ চৌধুরী সর্বোচ্চ ৭০৬ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালাহউদ্দিন আহমাদ বাবলু পেয়েছেন ২৬৭ ভোট।

এ ছাড়া ১০টি সদস্যপদে বিজয়ীরা হলেন- আইয়ুব ভূঁইয়া (৫৪৪), রেজানুর রহমান (৪৭৪), কাজী রওনাক হোসেন (৪৫৫), জাহিদুজ্জামান ফারুক (৪৪৩), শাহনাজ বেগম পলি (৪৩০), সৈয়দ আবদাল আহমদ (৪২১), শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা (৪২০), ভানুরঞ্জন চক্রবর্তী (৪১১), রহমান মুস্তাফিজ (৩৭৯) ও বখতিয়ার রানা (৩৬৮)। এর মধ্যে কাজী রওনাক হোসেন, শাহানাজ বেগম পলি, সৈয়দ আবদাল আহমদ ও বখতিয়ার রানা বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে এবং অন্যরা আওয়ামী লীগপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী হয়েছেন।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img