সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার ৫ বছর ক্ষমতায় থাকবে এবং ইসলামী আইনশাস্ত্র অনুযায়ী আইনকানুন চলবে। সম্প্রতি দেশটির নতুন সংবিধানে এমনটাই লেখা আছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিরিয়ার অস্থায়ী সংবিধানে সাক্ষর করেন দেশটির বিপ্লোত্তর প্রেসিডেন্ট আহমদ আল শার’আ আল জুলানী। এই অস্থায়ী সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর হবে।
সাংবিধানিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করার সময় আল-শারা বলেন, এটি সিরিয়ার জন্য একটি নতুন ইতিহাসের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা করছি। এর মাধ্যমে আমরা নিপীড়নের পরিবর্তে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব।
দুই সপ্তাহের কম সময় আগে একটি কমিটি করে এই ঘোষণাপত্র বানানোর নির্দেশ দেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ আল-আওয়াক বলেন, আগের সংবিধানের কিছু বিষয় নতুন অস্থায়ী সংবিধানেও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলিম হতে হবে এবং আইনশাস্ত্রের প্রধান উৎস হিসেবে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং নারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এতে। এই সংবিধানে বেশি মনোযোগ থাকবে অন্তর্বর্তী সময়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর। এর লক্ষ্য হবে পূর্ববর্তী বাশার আল-আসাদ সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।