সিরিয়ায় ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের হামলা বন্ধে তুরস্ক ও ইসরাইলের মধ্যে একটি কারিগরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়িয়ে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা। তুরস্ক সিরিয়ায় চলমান উত্তেজনাকর হামলা বন্ধের আহ্বান জানায় এবং সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আজারবাইজানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র অনুযায়ী, ইসরাইল ও তুরস্কের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল সিরিয়াতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো ও দেশটিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
বৈঠকে সিরিয়াতে তাৎক্ষণিক উত্তেজনাকর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আঙ্কারা। যা সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
এদিকে, বৈঠকে তুরস্কের এমন আহ্বানের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, সিরিয়ার পলিমরা এলাকায় তুর্কি ঘাঁটি তৈরি হলে তা সিরিয়ার জন্য’রেড লাইন’ হিসেবে বিবেচিত হবে। সিরিয়ার সরকারকে এই ঘাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাধা দিতে হবে। অন্যথায় এটি সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট আবু মুহাম্মাদ আল জুলানির শাসনকে ইসরাইলি হুমকির মুখে ফেলবে।
উল্লেখ্য, গত বছর সিরিয়ায় সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের পর থেকে, ইসরাইল ও তুরস্ক দেশটিতে নিজেদের উপস্থিতি নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে বাকযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে।
আঙ্কারা (তুরস্ক) সিরিয়ার উত্তরে থাকা তাহরির আল শামস’কে সমর্থন ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সৈন্য মোতায়েন করেছে। অন্যদিকে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে সেগুলোকে নিজেদের সঙ্গে একীভূত করার পরিকল্পনা করছে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই অঞ্চলেও হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
তুরস্ক এই হামলাগুলোকে সিরিয়ার ভূখণ্ডে অনধিকার প্রবেশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, আর ইসরাইলের দাবি, তারা সিরিয়ায় কোনো ‘শত্রুভাবাপন্ন’ শক্তিকে মেনে নেবে না।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ ও টাইমস অব ইসরাইল