ভারতের কেরালায় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্তত ২ হাজার কর্মী ও শিক্ষার্থী। পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাস, জলকামান, স্টান গ্রেনেড ও লাঠিচার্জের কারণে আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ জনকে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের কাছ থেকে ওয়াকফ সম্পত্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশি নির্যাতনের শিকার মুহাম্মাদ রাফাহ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছিলাম, হঠাৎ পুলিশ বাধা দেয়। আমাদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এক পুলিশ আমার হাতে সজোরে আঘাত করে, দম বন্ধ হয়ে আসছিল। আমি পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই, সেখানেই মুখ ধুয়ে নিই।”
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড-এর সদস্য ও জামায়াত-ই-ইসলামীর সহ-সভাপতি মালিক মুহতাসিম খান। তিনি এই আইনটিকে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর ও অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেছেন।
এসআইও-এর রাজ্য সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, আরএসএস প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা এবং গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে একটি হিন্দু রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টায় লিপ্ত, এবং তারা এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।
সূত্র: ক্লারিয়ন ইন্ডিয়া