সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের অতিথি হিসেবে ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে এসেছেন গাজ্জার শহীদ ও বন্দী ফিলিস্তিনি পরিবারের ৫০০ সদস্য।
সম্প্রতি আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, গাজ্জা গণহত্যা পরিচালনাকারী ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের হামলায় শহিদ হওয়া গাজ্জার ফিলিস্তিনি অধিবাসী এবং রাজনৈতিক বন্দীদের শত শত আত্মীয় ‘হারামাইন শরীফাইনের খাদেমের’(সৌদি বাদশাহর) হজ্ব অতিথি হিসেবে সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছেন।
দেশটির ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা গত সোমবার (২ জুন) গাজ্জার ৫০০ হাজ্বীকে গ্রহণ করেছেন। ফলে এবারের হজ্বে ফিলিস্তিন থেকে আগত হাজ্বীদের সংখ্যা ১ হাজারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
গাজ্জার এসব হাজ্বীদের জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বরণ করে নেওয়া হয়। বাদশাহর রাজকীয় হজ্ব অতিথি কর্মসূচির আওতায় তাদেরকে মক্কা নগরীর বিশেষ আবাসনে অবস্থানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজ্জার এসব হাজ্বীরা মুসলিম উম্মাহ এবং মক্কা-মদীনার দুই পবিত্র মসজিদের সেবার জন্য সৌদি আরব ও বাদশাহর কর্তৃত্বাধীন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ১৯৯৬ সাল থেকে ‘হারামাইন শরীফাইনের হজ্ব অতিথি’ কর্মসূচি শুরু করে সৌদির আরব। সেই থেকে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণীর হাজার হাজার মুসলিমের হজ্ব ও ওমরাহ’র দায়িত্ব গ্রহণ করে আসছেন দেশটির বাদশাহ। এসব হাজ্বী ও ওমরাহ পালনকারীদের দেওয়া হয় রাজকীয় আতিথেয়তা।
চলতি বছর এই কর্মসূচির অধীনে ১০০টি দেশের ২,৪৪৩ জন হাজ্বীকে আতিথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাদশাহর এই অতিথিরা মে মাস থেকেই সৌদি আরবে আসা শুরু করেছেন।