আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘ বিলুপ্ত করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।
তিনি বলেন, জাতিসংঘের অস্তিত্ব এখন বিলুপ্ত করে দেয়া উচিত। কারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের আর কোনো সার্থকতা আছে বলে মনে হয় না। একই সাথে আরব লীগ, ওআইসি মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ১৯৪৮ এই ইসরাইলের জন্ম থেকেই মানবতার সাথে তারা একেরপর এক অপরাধ করেই যাচ্ছে। সর্বশেষ বিগত দেড় বছর ধরে পৃথিবীর শতকোটি মানুষকে সাক্ষী রেখে ফিলিস্তিনিদের ওপরে বর্বর গণহত্যা পরিচালনা করে যাচ্ছে। অবাক করার মতো বিষয় হলো, আমেরিকাসহ পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ এই গণহত্যায় সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এবং আরব রাষ্ট্রগুলোও নিশ্চুপ থেকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, কোন কোন ক্ষেত্রে তারা সহায়তাও করছে। নির্মম গণহত্যার এই দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। ইসরাইলকে প্রতিহত করার এই ব্যর্থতা গোটা বিশ্ববাসীকে কলঙ্কিত করেছে।
তিনি বলেন, হিংস্র ইসরাইল ফিলিস্তিনের পাশাপাশি এখন সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে এক মহাযুদ্ধ শুরু করেছে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ইরানের ওপরে তারা যে অসভ্য ও নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সাথে ইরানে নিহত সামরিক উর্ধতন নেতৃবৃন্দসহ নিহত সকল সামরিক-বেসামরিক জনতার প্রতি সহমর্মীতা ও সমবেদনা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের অস্তিত্ব এখন বিলুপ্ত করে দেয়া উচিৎ। কারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের আর কোন সার্থকতা আছে বলে মনে হয় না। একই সাথে আরব লীগ, ওআইসি মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোরও মৃত্যু হয়েছে। আরব রাষ্ট্রগুলোর সরকার ও সরকার প্রধানগণ যে নগ্নভাবে হানাদার ইসরাইল ও পশ্চিমা শক্তির তাবেদারী করেছে তাতে তাদেরও মুসলিম জনতার নেতৃত্ব দেয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমতাবস্থায় বিশ্বের মুসলিম জনতাকে নিজেদের রক্ষায় নিজেদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে। যার যার দেশের সরকারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তাদেরকে বাধ্য করতে হবে; যাতে তারা ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়।
চরমোনাই পীর ইউরোপ ও আমেরিকার বুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে আপনারা রাজপথে নেমে আসুন। আপনার সরকারকে বাধ্য করুন ইসরাইলের বিরুধেধ অবস্থান নিতে। না হয় ইতিহাস গোটা ইউরোপ ও আমেরিকাকে গণহত্যার সহযোগী হিসেবে সাব্যস্ত করবে।
বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এসেছে। এখন চলমান সংঘাত বন্ধে সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উত্থাপন করুন। তাতে কাজ হোক বা না হোক অন্তত আমাদের প্রচেষ্টার ছাপ থাকুক মহাকালের ইতিহাসে। কারণ সভ্যতার স্বার্থেই ইসরাইলকে থামাতে হবে।
