জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, সাংবিধানিক, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগুলোতে আমরা যদি ঐকমত্য তৈরি করতে পারি; আর আমি মনে করি এটা সম্ভব। তাহলে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কথাটা শোনা যাচ্ছে তা সম্ভব।
রোববার (১৫ জুন) সংসদ ভবনে নিজ দফতরের সাংবাদিকের নানা প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, আমি যেভাবে বিষয়গুলো বিবেচনা করি; তিনটি বিষয় আসলে সমান্তরাল প্রক্রিয়া। একটা হচ্ছে সংস্কারের কর্মসূচি নির্ধারণ করা, আমরা বলছি জুলাই সনদ সেখানে রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা। আরেকটা হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করা, আর তৃতীয় হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া; যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার শুরু হয়েছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি বিচার চলছে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দিক থেকে আমাদের যেটা বক্তব্য আমি সেটা বলছি; আমাদের মেয়াদকাল আগস্টের ১৫ তারিখ পর্যন্ত কিন্তু আমরা জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’ প্রস্তুত করতে চাই এবং সকলের স্বাক্ষর নিতে চাই। এ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে আমরা যে সহযোগিতা পেয়েছি তাতে আমরা আশাবাদী; সংস্কারের যে প্রধান বিষয়গুলো তার ভিত্তিতে আমরা একটা সনদ জুলাইয়ে তৈরি করতে পারব।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন যে, সংস্কার প্রক্রিয়া অগ্রসর হওয়া এবং বিচার প্রক্রিয়া অগ্রসর হওয়া পাশাপাশি নির্বাচনের প্রক্রিয়া বহাল রাখা; যাতে রোজার আগেই নির্বাচনটা করা যায়। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের দিক থেকে যেটা জুলাই মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারব।
তিনি আরও বলেন, সংস্কারে আশু করণীয়গুলো আমরা মার্চ মাস থেকে সরকারকে অবহিত করেছি। যেগুলো সরকার প্রসাশনিকভাবে কিছু আইন সংশোধনের মাধ্যমে করতে পারেন। কিছু কিছু করা হয়েছে এবং কিছু কিছু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সেগুলো কয়েক মাসের মধ্যে সরকার করতে পারবে।
নির্বাচন, বিচার কার্য ও সংস্কার সবগুলো কি একসঙ্গে সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে করি সম্ভব। এগুলো তো পারস্পরিকভাবে সমান্তরালভাবে অগ্রসর হবে। আমি মনে করি না যে সংস্কার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত পদক্ষেপ রয়েছে সেগুলো নির্বাচনকে ব্যহত করবে। এখন যেটা হচ্ছে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সংস্কার বাস্তবায়ন হচ্ছে আর যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি সেগুলোর জন্য ঐকমত্য প্রয়োজন। সেটি জুলাইয়ের মধ্যে করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।