ভারত এখন বিএনপির কাঁধে ভর করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর পত্রিকায় দেখলাম ভারত তড়িৎ নির্বাচন চায়। ভারতের সঙ্গে বিএনপির কথার মিল আছে। অথচ আওয়ামী লীগের সময়ে ভারত বলেছিল- নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন দেখছি বিএনপির কাঁধে ভারত সওয়ার হয়েছে। তাই সবাইকে সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। মন চাইলেই যা খুশি তা করা যাবে না।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, ৫ আগস্টের পর দেশে কোনো সরকার ছিল না। তখন ভারত আমাদের দিকে শকুনের মতো চোখে তাকিয়ে ছিল। তারা সংখ্যালঘু ইস্যু তৈরি করে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। অথচ আমরা সংখ্যালঘুদের সম্পদ ও জানমাল পাহাড়া দিয়েছি। ট্রাফিকের কাজ করেছি। আর তখন একটি দল চাঁদাবাজি ও দখলবাজিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশ এখন দুইভাবে বিভক্ত। একটি ক্ষমতালোভী আর অপরটি দেশপ্রেমিক। সুতরাং মাঠ ইসলামের পক্ষে। তাই মানবতার কল্যাণে আমাদের তড়িৎ গতিতে কাজ করতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, কিছুদিন আগে বিএনপি ডিসেম্বরে নির্বাচন চাই, নির্বাচন চাই বলে পাগল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমরা বলেছি যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন। বিগত ১৫ বছর দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ১৮ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন আমি বঙ্গবন্ধুর কন্য, আমার ওপর আস্থা রাখুন। তার কথা বিশ্বাস করে আমরা বোকার দল নির্বাচনে গেলাম। দেখলাম দিনের ভোট রাতে হয়েছে। বিগত সরকার দেশের সব স্থানেই চোর, ডাকাতদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। এদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। তাই সংস্কার দরকার।
প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি এককভাবে বিদেশে বসে বাংলাদেশের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আগে বলেছেন আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন হবে। পরে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে বলেছেন- ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হতে পারে। তবে শর্ত আছে সংস্কার ও বিচার। কিন্তু আগের কথা পরবর্তীতে আপনি পরিবর্তন করতে পারেন না। জাতির কাছে ব্যাখ্যা দিন।
