আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার চালিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ।
তিনি বলেন, গাজ্জায় ফিলিস্তিনিরা কল্পনার বাইরেও দুর্ভোগ সহ্য করে চলেছে। আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম নিষ্ঠুর গণহত্যার জন্য ইসরায়েল দায়ী।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলে ফিলিস্তিনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আলবানিজ।
এ সময় আলবানিজ বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ। সরকারি পরিসংখ্যানে ২ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি হাতাহত হয়েছেন। তবে শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মার্কিন-ইসরাইল পরিচালিত তথাকথিত গাজ্জা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনকে তিনি একটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, গত ২০ মাসে অস্ত্র কোম্পানিগুলো গাজ্জায় বোমা হামলার জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র ইসরাইলকে সরবরাহ করে প্রায় রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, গাজ্জা ধ্বংস করার জন্য ৮৫ হাজার টন বিস্ফোরক যা হিরোশিমার ছয় গুণ শক্তিশালী, এগুলো নিক্ষেপ করার জন্য ইসরাইলকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করে অস্ত্র কোম্পানিগুলো প্রায় রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে।
আলবানিজ বলেন, নতুন অস্ত্র, কাস্টমাইজড নজরদারি, প্রাণঘাতী ড্রোন এবং রাডার সিস্টেম পরীক্ষা করার জন্য ইসরায়েল যুদ্ধকে ব্যবহার করছে কোম্পানিগুলো। প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনকে ইসরাইল সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্সের জন্য একটি আদর্শ পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে।
অস্ত্র প্রস্তুতকারক, ব্যাংক, প্রযুক্তি কোম্পানি, জ্বালানি জায়ান্ট এবং একাডেমিক প্রতিষ্ঠানসহ ৪৮টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা ইসরাইলি রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডকে টিকিয়ে রাখার জন্য একটি বৃহত্তর দখলদারিত্বের অর্থনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ইসরাইলের ওপর পূর্ণাঙ্গ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে, সমস্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং বিনিয়োগ সম্পর্ক স্থগিত করতে হবে এবং জবাবদিহিতা কার্যকর করতে হবে, যাতে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘনে জড়িত থাকার জন্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আনা যায়।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে (ইসরাইলের সঙ্গে) সমস্ত ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, অবদান রাখা এবং ঘটানো সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।









