গত কয়েক দশক ধরে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর দখল করছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। কিন্তু ইসরালের বর্তমান নেতানিয়াহু সরকারের আমলে গত প্রায় তিন বছরে এই দখল কার্যক্রমে রীতিমতো উর্ধ্বগতি ঘটেছে।
শুক্রবার (৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১২।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের শেষ দিকে সরকার গঠন করেন ইসরাইলের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল লিকুদ পার্টির শীর্ষ নেতা নেতানিয়াহু। তারপর থেকে গত প্রায় ৩ বছরে পশ্চিম তীর এলাকায় ইহুদি আবাসন বা আবাসিক ভবনের সংখ্যা ১২৮টি থেকে বেড়ে পৌঁছেছে ১৭৮টিতে। অর্থাৎ, শতকরা হিসেবে নেতানিয়াহুর আমলে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের হার বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন স্বীকৃত ৫০টি বসতির মধ্যে ১৯টি ইতমধ্যেই বিদ্যমান, সাতটি বর্তমানে চারণভূমি, ১৪টি মহল্লা এবং ১০টি এখনও কাগজে কলমে আছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত আড়াই বছরে ৪১ হাজার ৭০৯টি নতুন অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে নেতানিহুর নেতৃত্বাধীন সরকার। নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগের ৬ বছরে পশ্চিম তীরে অ্যাপার্টমেন্ট স্থাপনের অনুমতি প্রদানের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে।
চ্যানেল ১২ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীর এলাকায় ডজন ডজন নতুন বসতি স্থাপনের ঘোষণা, অভাবনীয় গতিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, কৌশলগত সড়ক নির্মান এবং একের পর এক ফিলিস্তিনি ভবন ধ্বংস— এ সবকিছুর মূল লক্ষ্য আসলে পুরো পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের প্রস্তাবকে কার্যকরভাবে নস্যাৎ করে দেওয়া।
এদিকে ইসরাইলের কট্টরপন্থি নেতা মেইর দিউৎশ চ্যানেল ১২কে বলেছেন, এর আগে কোনো ইসরাইলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে এত উৎসাহিত করেনি।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি









