আফগানিস্তানের শরণার্থী ও প্রত্যাবাসনবিষয়ক মন্ত্রী মাওলানা আবদুল কবীর আফগানিস্তানে নিযুক্ত ব্রিটিশ চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রবার্ট ডিকসন এবং আফগানিস্তানের জন্য নবনিযুক্ত ব্রিটিশ বিশেষ দূত রিচার্ড লিন্ডসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকটি পাকিস্তান ও ইরান থেকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো আফগানদের সহায়তা ও মানবিক সাহায্যের উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়।
বৈঠকে রবার্ট ডিকসন ইমারাতে ইসলামিয়াকে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “যুক্তরাজ্য সরকার আফগান প্রত্যাগতদের সহায়তায় ১.১ বিলিয়ন আফগানি প্রদান করেছে, যা জাতিসংঘের মাধ্যমে ব্যয় করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “লন্ডন আফগানদের জন্য তার সহায়তা অব্যাহত রাখবে এবং একইসঙ্গে ইমারাতে ইসলামিয়ার সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক চালিয়ে যাবে।”
বৈঠকের ধারাবাহিকতায় আফগানিস্তানের জন্য যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূত রিচার্ড লিন্ডসে বলেন, “আমরা ইমারাতে ইসলামিয়ার সঙ্গে বিশ্বের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং মনে করি, বিদ্যমান সব ইস্যু আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হওয়া উচিত।”
ব্রিটিশ কূটনীতিকদের স্বাগত জানিয়ে মাওলানা আবদুল কবীর বলেন, “ইমারাতে ইসলামিয়া আফগান প্রত্যাগতদের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এই মুহূর্তে সীমান্তে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা সরবরাহ করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আফগান প্রত্যাগতরা যাতে তাদের নিজ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে, তার জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। এই মানবিক সহায়তাগুলো যেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত না হয়, সেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
মাওলানা আবদুল কবীর বলেন, “আমি প্রত্যাগতদের জন্য পুনর্বাসন নগরী নির্মাণে যুক্তরাজ্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি। এসব নগরী নির্মাণ হলে আফগানদের পুনরায় শরণার্থী হয়ে যাওয়ার পথ বন্ধ হবে।”
মাওলানা আবদুল কবীর জোর দিয়ে বলেন, “ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগগুলোর জবাব দিয়েছে। এখন ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইমারাতে ইসলামিয়াকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আর বিলম্ব না করা।”
সূত্র : আরটিএ









