ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজ্জার কয়েকটি এলাকায় ১০ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। তবে এ ঘোষণার পরও বর্বর ইসরাইলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। রোববার (২৭ জুলাই) ভোর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রোববার (২৭ জুলাই) থেকে গাজ্জার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজ্জা সিটি এলাকায় সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ‘মানবিক উদ্দেশ্যে’ যুদ্ধে ‘কৌশলগত বিরতি’ ঘোষণা করেছে দখলদার সরকার।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা তাদের জীবন বাজি রেখে সেই সত্য উন্মোচন করছেন, যা পশ্চিমা মিডিয়া প্রায়ই নরম করে বা অস্পষ্ট করে উপস্থাপন করে: গণহত্যার হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার করার নির্মম কৌশল বলে দাবি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনের।
তীব্র ক্ষুধায় একের পর এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে গাজ্জায়। ত্রাণ নিতে বলে একজোট করে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে। অনেক মানবিক সংস্থার দাবি, ইসরাইল ভাড়াটে সেনা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে, গাজ্জায় হাসপাতালে তৈরি হয়েছে নির্মম এক দৃশ্য। বেশিরভাগ অসুস্থ শিশু কিংবা কিশোরের শরীরের সমস্ত হাড় দেখা যাচ্ছে।
দক্ষিণ গাজ্জায় কর্মরত স্বেচ্ছাসেবক চিকিৎসক নিক মেইনারড বলেন, ‘গাজ্জায় ক্ষুধার্ত রোগীদের ভয়াবহ অবস্থা দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকরাই।’
সূত্র : আল জাজিরা









