মঙ্গলবার | ২ ডিসেম্বর | ২০২৫

১, ২ ও ৩ আগস্ট গাজ্জার জন্য রাজপথে নামুন, বিশ্ববাসীর প্রতি হামাসের আহ্বান

গাজ্জায় ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের গণহত্যা, অবরোধ ও ক্ষুধা যন্ত্রণার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাতে ১-৩ আগস্ট বিশ্ববাসীকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) তুর্কি সংবাদমাধ্যম ইয়েনি শাফাকের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গাজ্জায় ইসরাইল কর্তৃক গণহত্যা, অবরোধ ও ক্ষুধা যন্ত্রণার হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হামাস। এতে বিশ্ববাসীকে আগামী ১ থেকে ৩ আগস্ট রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজ্জায় জায়নিস্ট আগ্রাসন, গণহত্যা ও ক্ষুধা যন্ত্রণার হত্যাযজ্ঞ নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে আমরা বিশ্ববাসীকে বিশেষত শুক্র, শনি ও রবিবার (১-৩ আগস্ট) ও সামনের দিনগুলোতে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এছাড়া গাজ্জা, পবিত্র নগরী কুদস, মসজিদে আকসা ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রতি সমর্থন জানাতে ৩ আগস্ট দিনটিকে বৈশ্বিক সংহতি দিবস হিসেবে উদযাপনের আহ্বান জানানো হয়।

একে শহীদ ইসমাইল হানিয়ার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে তারা বলেন, শহীদ ইসমাইল হানিয়া নিজেই ২৯ জুলাই ২০২৪ তারিখে ৩ আগস্টের দিনটিকে গাজ্জা বৈশ্বিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। যিনি পরবর্তীতে ৩১ জুলাই ২০২৪ তারিখ তেহরানে জায়োনিস্টদের হামলায় শহীদ হোন।

বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের আহ্বানে আরো বলা হয়, বিশ্বের প্রতিটি শহর ও রাজধানীতে যেনো টেকসই আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। ধারাবাহিক বিক্ষোভ ও গণমিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখা হয়। যতদিন না ফিলিস্তিনি নারী-শিশু, রোগী ও নিরপরাধ বেসামরিক লোকজনের উপর হামলা ও ক্ষুধা যন্ত্রণার হত্যাযজ্ঞ নীতি বন্ধ হচ্ছে, ততদিন যেনো আমেরিকা, জায়োনিস্ট ইসরাইল ও তাদের সমর্থন করা দেশগুলোর দূতাবাসের সামনে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হয়। একে তীব্র থেকে তীব্রতর করা হয়।

গাজ্জা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৮৮ জন শিশুসহ মোট ১৪৭ জন ফিলিস্তিনি অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছে।

আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বাহিনী অক্টোবর ২০২৩ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

‘ইন্টারন্যাশনাল হাঙ্গার মনিটর’ কর্তৃক মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, “গাজ্জায় সর্বোচ্চ মাত্রার দুর্ভিক্ষের এতদিনের আশঙ্কা এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। সংঘাত ও বাস্তুচ্যুতির মাত্রাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ও অন্যান্য জরুরী পরিষেবাগুলোর প্রাপ্তি নজিরবিহীনভাবে কমে গেছে।”

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img