গাজ্জায় দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা মানুষের জন্য তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট সংস্থা তুর্ক কিজিলাই প্রায় ৩ হাজার টন খাদ্যবাহী ১৬৫টি ট্রাক রাফা সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, এই খাদ্যবাহী ট্রাকগুলো ইতোমধ্যে গাজ্জার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এই মানবিক সহায়তা ইসলামী সংহতি প্ল্যাটফর্মভুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় পাঠানো হয়েছে। এসব সংগঠনের সদস্যরা ইস্তানবুলের ইস্তিনিয়ায় মাহমুদ চাভুশ মসজিদের সামনে সমবেত হন এবং গাজ্জাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
উল্লেখিত খাদ্য সহায়তা ৫০ হাজার মানুষের এক মাসের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে সক্ষম। মিসরের রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় তুর্ক কিজিলাই কর্মীরা সহায়তাগুলো দ্রুত গাজ্জাবাসীর কাছে পৌঁছানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে।
সংঘাতের শুরু থেকেই তুর্ক কিজিলাই গাজ্জায় প্রতিদিনের গরম খাবার সরবরাহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, জর্ডান রেড ক্রিসেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করে জর্ডান থেকেও গাজ্জায় সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
ইসরাইলি বাহিনী কর্তৃক গাজ্জার খান ইউনুসে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তুর্ক কিজিলাইয়ের প্রধান ফাতিমা মেরিচ ইয়িলমাজ।
তিনি বলেন, “গাজ্জায় সাহায্য পৌঁছানোর জন্য অনেক বড় পরিশ্রম করতে হয়। এই সাহায্য যারা জীবন বাজি রেখে বিতরণ করেন, সেই ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের কর্মীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো আমাদের জন্য গভীর দুঃখের বিষয়। দুঃখজনকভাবে একজন সাহায্যকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এবং দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা আমাদের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। ৬ অক্টোবর থেকে গাজ্জায় এখন পর্যন্ত ৪৮০ জন মানবিক সাহায্যকর্মী শহীদ হয়েছেন। সাহায্যকর্মীরা কখনোই লক্ষ্যবস্তু হতে পারেন না। এই হামলাগুলো শুধু আন্তর্জাতিক আইন নয়, মানবতারও লঙ্ঘন।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, “তুর্ক কিজিলাই পক্ষ থেকে আমরা আবারও আহ্বান জানাই, গাজ্জায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণ মানুষ ও সাহায্যকর্মীদের রক্ষা করতে হবে।”
সূত্র : আনাদোলু









