বেকারত্ব মোকাবেলায় ৪০০ এর অধিক প্রকল্প চালু করছে ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সরকার।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) তলো নিউজের এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর ৪১০টি উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তালেবান নেতৃত্বাধীন আফগান ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়, বেকারত্ব কমাতে দেশীয় সম্পদ ব্যবহার করে শত শত অবকাঠামোগত প্রকল্প শুরু করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্দুর রহমান হাবিব বলেন, “চলতি বছরের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৪১০টি প্রধান ও মৌলিক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। দেশীয় রাজস্বের মাধ্যমে এতে অর্থায়ন করা হচ্ছে। এগুলোর বেশিরভাগই উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত খাতের অন্তর্ভুক্ত। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে শত শত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।”
ইমারাত সরকার বেকারত্ব দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও প্রতিবেশী দেশগুলো কর্তৃক অবাধে জোরপূর্বক শরণার্থী বিতাড়ন ও সম্পত্তি জব্দ করে রেখে দেওয়া, বেকারত্ব ও দারিদ্র্যকে এখনো আফগানিস্তানের জন্য বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে বহাল রেখেছে। যা নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে।
কাবুলের অনেক বাসিন্দা জানান, কর্মসংস্থানের অভাবে তারা চরম আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন।
কাবুলের বাসিন্দা আলী বলেন,
“আমার মতো হাজার হাজার মানুষ বেকার। মানুষ এই পরিস্থিতিতে ভুগছে। অনেকেই চাকরির অভাবে বিকল্প পেশায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। ইমারাত সরকার আসার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে কিন্তু বেকারত্বের পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
কাবুলে বসবাস করা রোহিত নামের এক ব্যক্তি বলেন, “যেকোনো তরুণ যেনো নিজ দেশেই কাজ করতে পারে, সেজন্য দেশেই চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা ভালো। আমাদের যেনো ইরানে পাড়ি জমাতে না হয়। সেই পথে অনেক বিপদ। নিজ দেশে কাজ করে পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়াই শ্রেয়।”
অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আসিফ স্তানেকজাই বলেন, “দারিদ্র্য দূর করতে হলে প্রাকৃতিক সম্পদ হোক বা অন্যান্য খাত, সব ক্ষেত্রেই ব্যাপক অর্থনৈতিক কৌশল বাস্তবায়ন করতে হবে। কেবল মানবিক সহায়তা দিয়ে দারিদ্র্যতা কখনোই দূর করা সম্ভব নয়।”









