শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীকে সামনে রেখে ১৫ আগস্ট ঘিরে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া নাশকতার আশঙ্কা মোকাবিলায় কঠোর ও সর্বাত্মক নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের সাতটি জেলা এবং দুটি মহানগর এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত গোয়েন্দা প্রতিবেদন সরকারের উচ্চপর্যায় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকালে এরই অংশ হিসাবে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইজিপি বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশ সদর দপ্তরের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনলাইনে যুক্ত ছিলেন সাত জেলার এসপি, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং সব রেঞ্জের ডিআইজি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সভায় যুক্ত না হলেও তার পক্ষে ছিলেন একজন অতিরিক্ত কমিশনার।
জানা যায়, যেসব স্থানে নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে, সেগুলো হলো—ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাট, চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকা। এসব জেলার এসপি এবং মেট্রোপলিটন কশিনারকে বিশেষ নির্দেশনা দেন আইজিপি।
বলা হয়, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। ব্যাপক ধরপাকড় চালাতে হবে। এমনভাবে নিরাপত্তা ছক আঁকতে হবে, যাতে কেউ কোনো ধরনের অপকর্মের সুযোগ না পায়। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান আরও জোরদার করার পাশাপাশি শিক্ষক অন্দোলনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার নির্দেশ দেন আইজিপি। দাবি আদায়ের আন্দোলনের নামে কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পান।
সভায় জানানো হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্র লুট হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৩৬৩টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এছাড়া গোলাবারুদ লুট হয়েছে ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ রাউন্ড। লুট হওয়া ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭২০ রাউন্ড গোলাবারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। দ্রুত এগুলো উদ্ধারের নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে।









