কাতারে অবস্থানরত ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসে শীর্ষ নেতারা গাজ্জা যুদ্ধবিরতির পথে প্রধান বাধা বলে দাবি করেছেন ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি বলেন, কাতারে অবস্থানরত হামাসের শীর্ষ নেতাদের সরিয়ে দেওয়া গেলে গাজ্জার সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া এবং যুদ্ধ শেষ করার পথে প্রধান বাধা দূর হবে।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে নেতানিয়াহুর এই দাবি উঠে এসেছে।
ইসরাইল সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার, যারা গাজ্জা যুদ্ধবিরতি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রাখছে।
হামাস জানিয়েছে যে, এই হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নির্বাসিত গাজ্জা নেতা খালিল আল-হায়ার ছেলেও ছিলেন। তবে হামাসের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তাদের আলোচক দলের সদস্যরা বেঁচে গেছেন। কাতার বলেছে যে, তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্যও এই হামলায় নিহত হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্টে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘কাতারে থাকা হামাসের “সন্ত্রাসী” নেতারা গাজ্জার জনগণের প্রতি কোনো তোয়াক্কা করেন না। তারা সব যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টা আটকে দিয়েছেন, যেন যুদ্ধকে অনন্তকাল টেনে নেওয়া যায়।’ অন্যদিকে, হামাস বলেছে যে, ইসরাইল দোহায় হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেস্তে দিতে চাইছে, কিন্তু এতে গাজ্জা যুদ্ধ শেষ করার শর্তে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
ইসরাইল দাবি করেছে যে, যুদ্ধ শেষ করতে হলে হামাসকে অবশ্যই গাজ্জায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে এবং অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে। কিন্তু হামাস বলছে যে, ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি ছাড়া তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে না। পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা অস্ত্র ছাড়বে না।
সূত্র: রয়টার্স