লেখক ও তরুণ চিন্তক মাসুদ রানা সাগর চুয়াডাঙ্গার তরুণ প্রজন্মকে এক দফা এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের প্রার্থীরা ভোট চাইতে এলে তরুণদের স্পষ্টভাবে বলতে হবে, সমর্থন চাইলে প্রথম শর্ত হবে, বিজয়ী হওয়ার এক বছরের মধ্যেই সদর হাসপাতালের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্পন্ন করতে হবে।
সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাসুদ রানা জানান, এ দাবিকে ঘিরে শিগগিরই তরুণদের ক্ষোভ বিস্ফোরিত হবে। অনলাইনে সচেতনতা কর্মসূচির পর মাঠ পর্যায়েও আন্দোলন গড়ে উঠতে পারে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় ১৩ লাখ মানুষের এই জেলায় ন্যূনতম চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। সামান্য ডায়রিয়ার রোগীকেও রাজশাহী বা ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। উন্নত চিকিৎসা তো দূরের কথা, সদর হাসপাতালে মৌলিক চিকিৎসার নিশ্চয়তাও মেলে না। অথচ দেশের অর্থনীতিতে শিল্প, কৃষি ও জনশক্তি রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা চুয়াডাঙ্গার মানুষ চিকিৎসা ক্ষেত্রে বছরের পর বছর অবহেলিত হয়ে আসছে।
তাঁর মতে, হাসপাতালটি সমগ্র জেলার হওয়ায় শুধু চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি নন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনপ্রতিনিধিরও সমান দায়িত্ব রয়েছে। দুই আসনের নির্বাচিতরা সত্যিকার অর্থে যদি জনদরদী হন, তবে হাসপাতাল আধুনিকায়নে কোনো বাধা থাকার কথা নয়। তাছাড়া হাসপাতাল পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় সরকারেরও যথাযথ ভূমিকা রাখার প্রয়োজন রয়েছে।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা হিম্মত নিয়ে চোখে চোখ রেখে নিজেদের অধিকারের কথা বলবেন। নির্বাচনী সমর্থন চাইলে শর্ত হবে, এক বছরের মধ্যে উন্নয়ন সম্পন্ন করতে হবে এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই সেই উন্নয়ন জনগণকে বুঝিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় আমরা প্রতিবাদ করবো, ভোটেও জবাব দেবো। আর প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে ভবিষ্যতে না এলেও আমরা যথাযথ কৃতজ্ঞতা দেখাবো।