‘চরমোনাই পীর ভণ্ড, জাতীয় বেইমান’ বলে দেওয়া বক্তব্যের জন্য বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এবং সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, এ্যানি সম্প্রতি এক জনসভায় ইসলামী আন্দোলনের আমীর ও চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম সম্পর্কে অশালীন ও মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাজনৈতিক ও সচেতন মহলকে ব্যথিত করেছে।
নেতারা বলেন, বিএনপি হচ্ছে ডিরেক্ট স্বৈরাচারের সঙ্গী। কারণ, তারা ২০১৮ সালের অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে তাদের ৬ জন এমপি পাঠিয়েছে। ২০১৮ এর ডামি নির্বাচনের স্বীকৃতি দানকারী দল হলো বিএনপি। এখন তারা পাগলের মত আবোল তাবোল বলে উঁদুুর পিণ্ডি বুধুর ঘাড়ে চাপাতে চাচ্ছে। অর্থাৎ নিজেদের দোষ আড়াল করার হীন চেষ্টা করছে। পাবলিক সেন্টিমেন্টকে ভিন্ন দিকে ডাইভার্ট করার পাঁয়তারা করছে। জাতীয় চাঁদাবাজরা মিথ্যা ছাড়া কিছু বলতে পারে না। মিথ্যা কথা বলাই এ্যানি চৌধুরীরদের পুঁজি! যা বাংলাদেশের মানুষ এখন বুঝে গেছে। আমরা তার মিথ্যাকথা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
নেতারা আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী ইসলামপন্থিদের ঐক্য এবং এক বাক্সে ভোটের প্রক্রিয়াকে বিএনপি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। নির্বাচনে বিএনপির জন্য একমাত্র বাধা ‘ইসলামী জোট’। এতে তাদের ভরাডুবি জেনে তারা ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল এবং জাতীয় ব্যক্তিদের নিয়ে মিথ্যাচার ও কুৎসা রটনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেইমান তো তারা, যারা শহীদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতেছে।