গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশে সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল। গণঅধিকার জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল আগামী নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদের প্রস্তুতি, দলের আর্থিক সিস্টেম, নির্বাচনি পরিবেশ, নির্বাচনি জোট, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে আমাদের চিন্তা সম্পর্কে জানতে চান।
রোববার (৫ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরের দলীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২ সদস্যের প্রতিনিধি এই বৈঠকে অংশ নেয়।
রাশেদ খাঁন বলেন, গণঅধিকার পরিষদ ইতোমধ্যে ৫০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। শিগগিরই আরও ১০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত রয়েছে। দলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহের মাধ্যমে সংগঠন পরিচালিত হয়। এখনও পর্যন্ত কারও সঙ্গে আমাদের নির্বাচনি জোট হয়নি। আমরা মনে করি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনি পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেদিকে সরকার এখনও মনোযোগ দেয়নি। আর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। সরকার এ ঘটনার বিচার করতে না পারলে নির্বাচনি পরিবেশ কিভাবে তৈরি করবে?
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আমরা আস্থা বিশ্বাস রাখতে চাই। তাদের আন্তরিকতা আছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের তো নিজস্ব জনবল নেই। পুলিশ- প্রশাসন ও সব সেক্টরে এখনো আওয়ামী দোসররা বহাল তবিয়তে। তাদের সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুতরাং নির্বাচনের আগে প্রশাসনের সংস্কার গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে আজকে মোটামুটি দলগুলো ঐক্যমতে এসেছে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং জুলাই সনদের পক্ষে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমতে এসেছে। আমরা আশাবাদী শিগগিরই আমরা পুরোপুরি একমতে আসতে পারব। নতুন বাংলাদেশ গঠনে ঐক্যমতে আসার কোনো বিকল্প নেই।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান, শাকিল উজ্জামান, মাহফুজুর রহমান খান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, খালিদ হোসাইন, হাবিবুর রহমান রিজু প্রমুখ।