সোমবার | ১৩ অক্টোবর | ২০২৫

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ইসরাইলে ২০০ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে আমেরিকা

যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলে ২০০ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে আমেরিকা।

শনিবার (১১ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে সেন্টকমের প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার বলেন, যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণের জন্য ইসরাইলে ২০০ সৈন্য পাঠানো হচ্ছে। যেকোনো মুহুর্তে তাদের ইসরাইলে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে গাজ্জায় কোনো মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হবে না।

তিনি আরো বলেন, সংঘাত পরবর্তী স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার মহান প্রচেষ্টা গাজ্জা ভূখণ্ডে মার্কিন সেনা উপস্থিতি ছাড়াই অর্জন করা হবে।

এছাড়াও জানান, সংঘাত পরবর্তী স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রচেষ্টায় সমর্থন করার জন্য ‘সেন্টকম-নেতৃত্বাধীন সিভিল-মিলিটারী কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (সিএমসিসি) কীভাবে প্রতিষ্ঠা হবে এবং কীভাবে ভূমিকা রাখবে তা বুঝতে তিনি গাজ্জা থেকে ফিরে এসেছেন।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রাথমিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় গাজ্জায় গণহত্যা চালিয়ে যাওয়া ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ও ফিলিস্তিন স্বাধীনতাকামী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এর অংশ হিসেবে সোমবার থেকে বন্দী বিনিময় শুরুর কথা রয়েছে।

এছাড়া ইসরাইল ৩ ধাপে গাজ্জা থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে তাদের সেনারা তাদের মানচিত্রে দেখানো দখলের নীল ও হলুদ রেখা টানা অঞ্চল থেকে সরে আসতে শুরু করেছে। হলুদ রেখার অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণভাবে সরে আসার পর বন্দী বিনিময় শুরু হবে। ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। এরপর ক্রমান্বয়ে তারা তাদের মানচিত্রে দেখানো দখলের লাল রেখার থেকেও সেনা প্রত্যাহার করে নিবে এবং পরিশেষে বাফার জোনে গিয়ে সেনা উপস্থিতি বহাল রাখবে।

যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত রূপ লাভ করলে এই ৩ ধাপের প্রত্যাহার সত্ত্বেও গাজ্জার বিভিন্ন প্রবেশ পথ ও স্থান ৭ অক্টোবরের পূর্বের ন্যায় ইসরাইলী সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানা গিয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে প্রত্যাহার সত্ত্বেও গাজ্জার বাকি অংশকে ৭ অক্টোবরের পূর্বের অংশ থেকে কম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img