আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দুই হাজার মানুষ নিহত ও ২০ হাজার মানুষ আহত হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ যদি নিষিদ্ধ হয়, তাহলে তার আগে বাংলাদেশে জামায়াতের নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। কেননা তারা ১৯৭১ সালে মা-বোনদের গণিমতের মাল মনে করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছিল, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করে মানুষ হত্যা করেছে।’
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকালে তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দুই শহীদ যোদ্ধা আবদুল কাইয়ুম আহাদ ও আসিফ হোসেনের কবরে শ্রদ্ধা, জিয়ারত ও পরিবারের খোঁজ নেন। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বুলু বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কিন্তু যারা একাত্তরকে অস্বীকার করে, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত অস্বীকার ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লব বলে ৫ আগস্টকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা, নতুন সংবিধানের কথা বলে প্রকারন্তে তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে। এমনকি তারা মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাহাত্তরের সংবিধান অস্বীকার করে। এদের বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার অধিকার যেমন নেই, তেমনি তাদের ভোট চাওয়ারও অধিকার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘পিআর পদ্ধতির কথা বলে যারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং নির্বাচন ব্যাহত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্য অন্যকোনও দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন।’
আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিসহ সম্প্রতি কয়েকটি বড় আগুনের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ভূরাজনীতির কারণে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে।’