জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন সানায়ে তাকাইচি। নতুন জোট গঠনের জন্য ১১ ঘণ্টার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করায় জাপান সামাজিক রক্ষণশীল তাকাইচিকে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে।
জাপানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী এত বছরের মধ্যে একটি সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্ধারিত সফরসহ তার সামনে রয়েছে অনেক চ্যালেঞ্জ ।
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে তাকাইচির প্রধানমন্ত্রী পদে অনুমোদন দেয়ার কথা এবং পরে তিনি সম্রাটের সাথে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
তিনি ৪ অক্টোবর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বে জয়লাভ করেন। যে দলটি গত কয়েক দশক ধরে প্রায় অব্যাহত ভাবে শাসন করে আসছে কিন্তু ক্রমশ অজনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
তবে ছয় দিন পর, কোমেইটো পার্টি, যা তাকাইচির রক্ষণশীল মতাদর্শ এবং এলডিপির একটি তহবিল কেলেঙ্কারি নিয়ে অস্বস্তিতে তাদের জোট ত্যাগ করে।
ফলে তাকাইচি জাপান ইনোভেশন পার্টির (জেআইপি) সাথে একটি জোট গঠন করতে বাধ্য হন, যা সোমবার রাতে স্বাক্ষরিত হয়।
তিনি সোমবার জাপানের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার এবং জাপানকে এমন একটি দেশ হিসেবে পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন যা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য টেকসই হতে পারে।