জাতিসংঘের ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফগান ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার।
সোমবার (১০ নভেম্বর) হুররিয়াত রেডিওর এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানের ইমারাতে ইসলামিয়ার সরকার জাতিসংঘের ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ইমারাত সরকার ও আফগান নাগরিকদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেয় দেশটির জাতীয় পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা এনইপিএ।
বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আফগানিস্তান বর্তমানে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন কোপ-৩০ (COP-30) এর জন্য এখনো আমাদের কোনো আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি।
এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের দিক থেকে আফগানিস্তান বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে ৬ষ্ঠ তম। আফগান জনগণ খরা, বন্যা, হিমবাহ গলে যাওয়া, কৃষি উৎপাদন হ্রাস, ভূমিধস, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতির মতো সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।
এতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সংকট সমাধানে আফগানিস্তান কাজ করতে প্রস্তুত। কিন্তু সম্মেলনে আফগানিস্তানের অনুপস্থিতি জলবায়ু ন্যায়বিচার, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং মানবিক ঐক্যের নীতির পরিপন্থী। এজন্য আফগান সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ, বিশ্ব সম্প্রদায় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আফগানিস্তানের ন্যায্য অধিকারের স্বীকৃতির আহ্বান জানানো হচ্ছে, যেনো জলবায়ুর পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ আফগানের কণ্ঠস্বর বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেওয়া যায়।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, জাতিসংঘের জলবায়ু ন্যায়বিচার বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলন কোপ-৩০ এবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ইমারাতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের কোনো প্রতিনিধিকে এতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানায়নি। অথচ এই সম্মেলনটির উদ্দেশ্য হলো, বৈশ্বিক সহায়তা আহ্বান ও যৌথ কর্মপরিকল্পনার সমন্বয় করা!









