রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার স্পষ্টভাবে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে এবং সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচার দমনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
ভারতে সরকারি সফরে গিয়ে ইন্ডিয়া টুডে–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
পুতিন বলেন, “আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ গতিপথে ভূমিকা রাখতে চাইলে অবশ্যই দেশটির বর্তমান নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। কোনো যোগাযোগ না রাখার চেয়ে যোগাযোগ রাখা ভালো।”
তিনি বলেন, “তালেবান স্পষ্টভাবে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করছে, এটা সবার সামনে স্পষ্ট। এটাই প্রথমে বলা দরকার, এবং এটিকে মেনে নিতেই হবে, কারণ এটাই বাস্তবতা। দ্বিতীয়ত, গুরুত্ব দিয়ে দেখার বিষয় হলো- আফগান সরকার সন্ত্রাসবাদ দমন এবং আইএসআইএলসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বহু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে।”
এদিকে পাকিস্তানে রুশ রাষ্ট্রদূত ইমারাতে ইসলামিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে কাবুল–মস্কোর বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
ইমারাতে ইসলামিয়ার দূতাবাস জানায়, বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত আলবার্ট খোরেভ বলেন, তার দেশ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতা জোরদারে দায়িত্বশীল ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক জুহরুদ্দিন জাহির বলেন, “দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক আদান–প্রদান হয়েছে। রাশিয়া এমনকি স্বীকৃতির দিকেও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বুঝতে পেরেছেন যে আফগানিস্তান গত চার বছরের বেশি সময় ধরে স্থিতিশীল নিরাপত্তা উপভোগ করছে।”
আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইদ্রিস মোহাম্মাদ জাজাই বলেন, “এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মেনে নিতে হবে। বিশ্বকে বুঝতে হবে যে ইমারাতে ইসলামিয়ার সঙ্গে এই রূপেই সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন।”
রাশিয়া প্রথম দেশ হিসেবে ইসলামিক আমিরাতকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং কাবুলের সঙ্গে তার কূটনৈতিক সম্পর্ক ধরে রেখেছে।
ইমারাতে ইসলামিয়া মনে করে, রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে।
সূত্র: তোলো নিউজ









