বুধবার | ৩১ ডিসেম্বর | ২০২৫
spot_img

ইরাকে ১৩ তুর্কি সেনাকে হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে তলব করল আঙ্কারা

ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কুর্দি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পিকেকে’র হাতে ১৩ তুর্কি নাগরিকের হত্যাকাণ্ডের জের ধরে আমেরিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। একইসঙ্গে আঙ্কারায় নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ওই ১৩ জনের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নীতি-অবস্থানের বিরুদ্ধে ‘কঠোরতম প্রতিবাদ’ জানানো হয়েছে। পিকেকে’র সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ব্যক্তিদের বেশিরভাগ তুরস্কের সেনাবাহিনী বা পুলিশ বাহিনীর সদস্য।

তুরস্ক বলছে, পিকেকে গেরিলারা যে ১৩ তুর্কি নাগরিককে অপহরণ করেছিল ইরাকের উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সেনাবাহিনী তাদের কাছাকাছি পৌঁছার পর তাদেরকে হত্যা করা হয়। এদের ১২ জনকে মাথায় গুলি করে ও একজনকে কাঁধে গুলি করে হত্যা করে পিকেকে সন্ত্রাসীরা।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছিল, পিকেকের হাতে তুর্কি নাগরিকদের হত্যাকাণ্ডের খবর সত্যি হয়ে থাকলে আমরা এ কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।

প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, আমেরিকার এই ‘শর্তযুক্ত’ নিন্দা ‘উপহাস’ ছাড়া আর কিছু নয়। মার্কিন সরকার পিকেকে এবং ওয়াইপিজি’র মতো ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পরিবর্তে এসব গোষ্ঠীকে সমর্থন করছে।

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তুরস্ক সেনাবাহিনী ইরাকের অভ্যন্তরে কুর্দি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লুও ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের’ দাবিদার দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেছেন, এসব দেশ ‘কিন্তু, যদি’ ইত্যাদি পরিভাষা ব্যবহার করে বিষয়টিকে গুরুত্বহীন করে ফেলছে।

spot_img
spot_img
spot_img
spot_img

সর্বশেষ