সোমবার | ৮ ডিসেম্বর | ২০২৫

মোদিবিরোধী আন্দোলন করলে কঠোর ব্যবস্থা: পুলিশের হুঁশিয়ারি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার এবং সদ্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শকের (চলতি দায়িত্ব) দায়িত্ব পাওয়া মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদিবিরোধী আন্দোলনের নামে কেউ রাষ্ট্রের সুনাম নষ্ট করলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদ্বোধনে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানদের আগমন উপলক্ষে ডিএমপি আয়োজিত নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনকে সামনে রেখে যারা মোদিবিরোধী মিছিল-মিটিং করছে কিংবা করবে তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। না হলে পুলিশ শক্তভাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলাকালে রাজনৈতিক কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার বলেন, ‘ভিভিআইপিরা আসবেন তাই রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’

ভিভিআইপিদের চলাচলের কারণে রাজধানীতে যানজট তৈরি হতে পারে জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজধানীর সড়কগুলোতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। এর ফলে অধিকাংশ সড়কগুলোতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। আসন্ন উৎসবে বিদেশি অতিথিদের আমন্ত্রণ উপলক্ষে অনেক সড়কে চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন হবে। রাষ্ট্রের সম্মানের কথা চিন্তা করে জনগণের এইটুকু স্যাক্রিফাইস করতে হবে।’

অফিস-আদালত কিংবা পরীক্ষার জন্য বের হলে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগে বের হওয়ার অনুরোধ জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, ‘১৭ থেকে ২৬ মার্চের মধ্যে সাপ্তাহিক ও সরকারি মিলিয়ে ৪ দিন ছুটি রয়েছে। এ সময়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব সড়কে চলাচলে ভোগান্তি যতটা সম্ভব কমানোর।’

নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে মনিরুল ইসলাম মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিটিটিসিতে (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) যোগদান করি। ৫ বছর আমি সেখানে কাজ করেছি। এখন সরকার মনে করছে যে অন্য জায়গায় গেলে আমি হয়তো আরও ভালো করবো সে কারণে আমাকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে (এসবি) বদলি করা হয়েছে। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের নিয়ে একটি বড় উৎসব পালনের পরিকল্পনা করেছে সরকার। ইতিমধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগান, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বাংলাদেশ সফর প্রায় নিশ্চিত করেছেন।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img