বৃহস্পতিবার | ২৬ জুন | ২০২৫

জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী উইগুর মুসলিম দম্পতি আটক

spot_imgspot_img

মাত্র ৫ বছর বয়সে তুরস্ক চলে যান চীনের কার্গিলিক কাউন্টির ইয়াহইয়া কুরবান। পরে তিনি তুর্কি নাগরিকত্ব লাভ করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তুরস্কের নাগরিকত্ব বহাল থাকার অভিযোগে সংখ্যালঘু উইগুর দম্পতিকে আটক করেছে চীনের জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষ।

তদের মেয়ে হানকিজ কুরবান জানান, আমার মা-বাবা জিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষী, তাই তাদের সহজে ছেড়ে দেবে না বেইজিং।

২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তিনি এবং তার স্ত্রী আমিনে কুরবান (স্থানীয় বাসিন্দা) জিনজিয়াংয়ের রাজধানী ইউরুমকিতে দোকান পরিচালনার সময় আটক হন। ওই ঘটনার পর থেকে তুরস্কে থাকা তাদের চার সন্তান তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না তারা। এরপর মেয়ে হানকিজ কুরবান বেইজিংয়ে নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাসে খোঁজখবর নিতে শুরু করে। জিনজিয়াং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কর্তৃপক্ষ ওই দম্পতির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

হানকিজ বলেন, গত ৪০ বছর ধরে আমার মা-বাবা তুরস্কের নাগরিক। আমরা চারজন তাদের সন্তান। আমরা সবাই ইস্তানবুলে জন্ম নিয়ে বেড়ে উঠেছি। আমার বাবা-মা জিনজিয়াংয়ে ফিরে গিয়ে ব্যবসা করছিলেন। আমি মনে করি, আমার বাবা-মাকে এজন্য আটক করা হয়নি যে, তারা কোনো অপরাধ করেছে। বরং তারা চীন সরকারের কুকর্ম জেনে ফেলেছিল বলে তাদের আটক করা হয়েছে। তুরস্কে তাদের ফিরে আসা ঠেকাতেই এটা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, উইচ্যাটে আমার মা ভয়েস ম্যাসেজ পাঠিয়েছিলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, তিনি আর আমার বাবা পুলিশ স্টেশনে এক রাত কাটিয়েছেন। পুলিশ তাদের নিয়ে যাচ্ছিল, সে কারণে দূতাবাসে আমাদের যোগাযোগে করতে বলেছিলেন। সেটা ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালের ঘটনা। পরে আমি তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাদের ফোন বন্ধ রয়েছে। তাদের ম্যাসেজ দিয়েও লাভ হয়নি।

সর্বশেষ

spot_img
spot_img
spot_img