পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ আহমেদ বলেছেন, তালেবানের সঙ্গে সংলাপে সবার স্বার্থ জড়িত। আমরা প্রতিবেশী আফগানিস্তানে শান্তিকে সমর্থন করব।
সম্প্রতি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নতুন, সভ্য আফগান তালেবান শান্তি আলোচনাকে প্রাধান্য দেবে এবং আফগান জনগণের সমর্থন রয়েছে, এমন যে কোনো সরকারকেই মেনে নেবে ইসলামাবাদ। এজন্য আফগানিস্তানে আফগান নেতা, রাজনীতিবিদ ও তালেবানকে সংকট নিরসনে সংলাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
পাকিস্তান আফগানিস্তানে শান্তি চায় জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকিস্তান এই অঞ্চল বা আফগানিস্তানে শান্তি বিনষ্টে তার মাটি কাউকেই ব্যবহার করতে দেবে না।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই দশকের উপস্থিতির পর ফলাফলশূন্য হয়ে আফগান থেকে মার্কিন সেনা ও ন্যাটোকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় আমেরিকা। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা ১১ সেপ্টেম্বর বলা হয়েছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
এদিকে আমেরিকার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগানিস্তান থেকে দেশটি ৯০ শতাংশের বেশি সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার মধ্যে আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কথা জানিয়েছে তালেবান।
যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন শুরু করে। এ যুদ্ধে মার্কিন সামরিক বাহিনীর অন্তত দুই হাজার তিনশ মতো সেনা প্রাণ হারায়। এছাড়া আমেরিকা ও ন্যাটোর হাজার হাজার সেনা আহত হয়। আমেরিকার এ যুদ্ধে আফগানিস্তানের হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে।