নাটোরের লালপুর উপজেলায় ঈদের নামাজ শেষে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষে ১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ৫ জন। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ছেলে মেহেদী হাসান মুনসহ ৭ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
সোমবার সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে উপজেলার বালিতিতা রামকৃষ্ণপুর ঈদগাহে এ ঘটনা ঘটে। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রামকৃষ্ণপুর চিনি বটতলা এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলি ছোড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বিএনপি ও স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রামকৃষ্ণপুর গ্রামের লুকমান হোসেনের ছেলে সাব্বির (২৪) আহত হন। তাকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক উপস্থিত লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন লালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফুল ইসলাম লুলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, বিএনপি নেতা এটিএম জাহিদুল আলম ডলার, জিয়াউর ও আলাউদ্দিন।
তারা অভিযোগ করেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি পরিকল্পিতভাবে ঈদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গুলিবিদ্ধ সুজাত জানান, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আমির হোসেন টেগুর ছেলে ফরহাদ হোসেন নান্নু তাকে গুলি করে। সে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। ২ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।