পতিত সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করেছে উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ও সেক্রেটারী আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার বলেছেন, দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে কিন্তু কোরবানীর পশুর চামড়া দাম বাড়ছে না। বিগত ১৬ বছরে একটি সিন্ডিকেট গোষ্ঠী চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত।
আজ রোববার (১ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে নেতারা বলেন, পাট শিল্প শেষ করা হয়েছে। এখন চামড়া শিল্পকেও ধ্বংসের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। একটি ইসলামবিরোধী গোষ্ঠী কওমী মাদরাসাকে ধ্বংসের জন্যে চামড়ার দাম কমিয়ে রাখে। কওমী মাদরাসায় দেশের লাখ লাখ এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষ বিনা বেতনে ও বিনা খরচে পড়ালেখা করে, যার অধিকাংশ কোরবানীর পশুর চামড়া থেকে ব্যয়ভার নির্বাহ করা হয়। এজন্য কওমী মাদরাসাগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেজন্য একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও বঞ্চিতদের হক নষ্ট করছে।
নেতারা বলেন, জুলাই-আগস্ট পরবর্তীতে বর্তমান সরকার চামড়া শিল্পকে বাচানোর উদ্যোগ নিলে এ খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। পতিত সরকার সুপরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ৬০% চামড়া কোরবানী ঈদে ব্যবস্থা হয়ে থাকে। বাকি ৪০% চামড়া সারা বছর হয়ে থাকে।
তারা আরও বলেন, চামড়া শিল্পের সাথে শত শত ট্যানারী ও হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। এছাড়াও চামড়া শিল্প ছিল বৈদেশিক মূদ্রা আয়ের অন্যতম খাত। বিগত সরকারের অবহেলায় এ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অন্তর্র্বতী সরকারকে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু কোরবানী উপলক্ষে ঋণ দিলেই চামড়া শিল্পকে রক্ষা করা যাবে না। ট্যানারী এলাকাকে পরিবেশ বান্ধব করতে হবে। বিদেশী বায়ারদের আকৃষ্ট করার পরিবেশ তৈরী করতে।