বুধবার | ১৭ সেপ্টেম্বর | ২০২৫

কোরবানির চামড়া লবনজাত করে ক্ষতিগ্রস্থ মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার: মধুপুরের পীর

মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেছেন, কোরবানির চামড়া লবনজাত করে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া মাদরাসার পাশে দাঁড়ায়নি সরকার।

আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে ক্ষতিগ্রস্থ কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, চামড়া-শিল্প এদেশের সম্ভাবনাময় প্রধান শিল্পগুলোর একটি। এটি বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনেরও অন্যতম প্রধান খাত। এই খাতের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের এক বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয়-উপার্জন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় বাণিজ্য উপদেষ্টার আহবানে সাড়া দিয়ে সদ্য সমাপ্ত কোরবানীর ঈদে বিপুল সংখ্যক কওমী মাদরাসা চামড়া লবনজাত করে। ছাত্র উস্তাদদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও পরিশ্রম সরকারের উদাসীনতা ও দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণে বিনষ্ট হয়ে গেছে। কোরবানীর লবনজাত চামড়া নায্যমূল্যে বিক্রির কোন পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করেনি। তারা আলেম উলামা ও মাদরাসাগুলোর সাথে একপ্রকার প্রতারণা করেছেন।

তিনি বলেন, অবিলম্বে কমিশন গঠন করে ক্ষতিগ্রস্থ মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যাদের অসতর্কতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে চামড়া শিল্পের বিপর্যয় ঘটেছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট খাতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথে পরামর্শ করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী একমাসের মধ্যে উক্ত দাবি পূরণে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্তনাদ সরকারের কানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাংবাদিক সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্থ মাদরাসার দায়িত্বশীলদের প্রধান প্রতিনিধি ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীর সভাপতিত্বে ও মুফতী ফজলুল করীম কাসেমী এবং মুফতী আবদুল্লাহ ফিরোজীর সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, হাজীপাড়া মাদরাসা নারায়ণগঞ্জের মুহতামিম মুফতী আব্দুল আউয়াল, জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন সাভারের মুহতামিম মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, আফতাবনগর মাদরাসার মুহতামিম মুফতী মোহাম্মদ আলী, টঙ্গী দারুল উলূমের মুহতামিম মুফতী মাসউদুল করীম, মেরাজনগর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রশিদ আহমাদ, মুফতী সাঈদ নূর (পীর সাহেব মানিকগঞ্জ), জামিয়াতু ইব্রাহীম আ. ঝাউচরের মুহতামিম মুফতী জাহিদুল ইসলাম কাসেমী, দিলুরোড মাদরাসার মুহতামিম মুফতী সালাহ উদ্দিন, জামিয়া নূরিয়া কামরাঙ্গীরচরের শিক্ষক মুফতী সুলতান মহিউদ্দিন, জামিয়াতুস সুফফাহ আমীনবাজারের মুহতামিম মুফতী আব্দুল বারী, মুফতী মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল ওয়াহহাব, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলানা আনওয়ার হামিদী, মাওলানা আব্দুল জলিল প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় কোরবানীর চামড়া লবনজাত করে ক্ষতিগ্রস্থ মাদরাসার পক্ষ থেকে সরকারের সাথে আলোচনা করার জন্য মধুপুরের পীরকে প্রধান উপদেষ্টা ও হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমীকে আহ্বায়ক করে এগারো সদস্য বিশিষ্ট লিয়াঁজো কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতী আব্দুল আউয়াল নারায়ণগঞ্জ, মুফতী মোহাম্মাদ আলী আফতাবনগর, মাওলানা আশিকুর রহমান কাসেমী, মুফতী মাসউদুল করীম, মাওলানা রশিদ আহমাদ মেরাজনগর, মুফতী ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতী সাঈদ নূর, মুফতী সালাহ উদ্দিন ও মাওলানা হারুনুর রশিদ। দোয়ার মাধ্যমে মতবিনিময় সভা শেষ হয়।

spot_img
spot_img

এই বিভাগের

spot_img