আফগানিস্তান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেনাদের নিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট।
প্রায় ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোটের সেনা মোতায়েন ছিল। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের কাজ চলবে।
তবে সেনা প্রত্যাহারে সামরিক সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে মার্কিন বাহিনী। কোন সরঞ্জামগুলো দেশে ফেরত পাঠানো হবে আর কোনগুলো আফগানিস্তানে বাতিল হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হবে তার তালিকা তৈরি করছে তারা।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানে সামরিক আগ্রাসন চালায় আমেরিকা ও তার মিত্র শক্তি ন্যাটো জোট। আমেরিকার জন্য আফগানিস্তান ছিল তার সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী সঙ্ঘাত। আমেরিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে, তাদের ২,৪০০-এর বেশি সৈন্যকে হারিয়েছে। ২০ বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনো তালেবান তাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ লড়ায়ে মার্কিন শক্তির উপর তালেবান নিজেদেরকে বিজয়ী মনে করছে। দীর্ঘ ২০টি বছরের লড়াইয়ে তাদের একটুও ফ্যাকাসে হয়নি ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের স্বপ্ন দেখা।
গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি তালেবানের সাথে এক ঐতিহাসিক চুক্তি সই করে বিশ্বের সুপার পাওয়ার আমেরিকা। ওই চুক্তিতে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত সে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি পেন্টাগন। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১ মে’র মধ্যে আফগান থেকে সকল মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করার কথা রয়েছে। তবে খোদ আমেরিকাই তালেবানের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তি রক্ষা করছে না।
১ মে’র আগের আগে প্রত্যাহার না করে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সেনা প্রত্যাহারের কথা বলছে আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসন। এদিকে আমেরিকার পাশাপাশি আফগান থেকে নিজেদের সেনাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটো জোট।
২০টি বছর পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে একটুও জোড় কমেনি তালেবানদের। বর্তমানে আফগানিস্তানের অধিকাংশ শহর ও এলাকা তাদের নিয়ন্ত্রণে। পশ্চিমা শক্তির বিদায়ের সাথে সাথে তারা আফগানের ক্ষমতায় বসার স্বপ্ন দেখছে।