অবরুদ্ধ গাজ্জার জন্য ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক মানবিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটকে দেওয়া ও এতে ইসরাইলের হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইতালির সবচেয়ে বড় শ্রমিক সংগঠন। নৌ-বহরের অন্তত ১৩টি জাহাজ জব্দ করে দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করে ইসরাইলি বাহিনী। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সাধারণ মানুষ।
আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির বিভিন্ন শহরে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে বিক্ষোভ। বুধবার সন্ধ্যায় নেপলসসহ কয়েকটি বড় শহরে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষোভকারীরা। নেপলসের প্রধান রেলস্টেশন অবরোধ করে রাখা হয় দীর্ঘ সময়।
গাজ্জার উপকূলের খুব কাছে পৌঁছালে ফ্লোটিলার আয়োজকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের দিক পরিবর্তনের জন্য চাপ প্রয়োগ করে ইসরাইলি বাহিনী। ইতালিয়ান সাংবাদিক লরেঞ্জো ডা’আগস্টিনো জানিয়েছেন, আলমা ও সিরিয়াসসহ বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরাইলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ।
তবে ৪৫ নৌযানের এই বহরের পেছনের দিকের কিছু জাহাজ এখনও গাজ্জার দিকে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে বলে জানান অংশগ্রহণকারী লুয়াই চারনি। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমরা এখনও লক্ষ্যস্থলের পথেই আছি।
ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসী আচরণের মুখে জরুরি অবস্থা জারি করে ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ। আয়োজকরা জানান, নৌবহর ঘিরে ফেলার সময় বেশিরভাগ জাহাজ থেকেই সরাসরি সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলাতে রয়েছে ৪৫টি বেসামরিক নৌকা ও জাহাজ। এগুলোতে বিশ্বের ৪০ দেশের প্রায় ৫০০ মানবাধিকারকর্মী, আইনজীবী, আইনপ্রণেতা ও সমাজকর্মী রয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন আটক সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনের কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও।