ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে পহেলগাঁও হামলার সন্দেহভাজনদের স্কেচ তৈরি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে পহেলগাঁও’তে কথিত বন্দুকধারীর হামলার ঘটনার সত্যতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা এই ঘটনাকে একটি বড় ধরনের প্রচার ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের বোল নিউজে ডিজিটাল ফরেন্সিক এক্সপার্ট’দের উদ্ধৃতি দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত স্কেচগুলোতে সন্দেহজনকভাবে একরকমের প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে। এই বিষয়টি বিশ্লেষণ করে ডিজিটাল ফরেন্সিক এক্সপার্টরা বলছেন, এই চিত্রগুলি ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে, যেমন সাক্ষী দ্বারা বর্ণিত তথ্যের ভিত্তিতে, তৈরি না হয়ে বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সরঞ্জাম ব্যবহার করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এআই টুলস ব্যবহার করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই চিত্র তৈরি করা হয়েছে। এই ধরনের কম্পিউটার-উৎপাদিত চিত্রগুলি সরকারি দাবির বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ণ করে।
প্রকাশ্যে আসা এই তথ্যগুলি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পহেলগাঁও ঘটনা সম্ভবত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মঞ্চস্থ বা অতিরঞ্জিত করা হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, সরকারি বিবরণীতে দৃঢ় প্রমাণের অভাব, হামলার বিবরণীতে অসঙ্গতি এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট বর্ণনা প্রচারের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা রয়েছে, যা এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
পর্যবেক্ষকরা উল্লেখ করেন, এটি একটি প্যাটার্নের অংশ, যেখানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনা ব্যবহার করে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলি থেকে মনোযোগ সরানো বা আঞ্চলিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, একজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর স্কেচ তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা ও যথার্থতা সবচেয়ে বড় বিষয়। অভিজ্ঞ স্কেচ আর্টিস্ট প্রত্যক্ষদর্শীর মানসিক অবস্থা, দ্বিধা বা অস্পষ্টতা বুঝে ছবিতে রূপ দিতে পারেন। তাই এর আইনি গ্রহনযোগ্যতা বেশি। অপরদিকে, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা একটু অস্পষ্ট হলে এআই ভুল চেহারা তৈরি করতে পারে। তাই কিছু দেশে আইনি বা প্রমাণ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা কম।
সূত্র: বোল নিউজ