ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে ভয়াবহ বন্যা আশঙ্কা রয়েছে তিস্তাপাড়ে।
ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গজলডোবা পয়েন্টে পানিসমতল মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে প্রায় ২৮৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ১১০ দশমিক ৩০ মি.) এবং দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার (৪ অক্টোবর) থেকে প্রায় ৮২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়েছে (বর্তমান পানি সমতল ৮৫ দশমিক ৯৫ মি.) এবং এই বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে হ্রাস পাচ্ছে। বুধবার সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ৫১ দশমিক ৩৫ মি. (বিপদসীমার ৮০ সে.মি. নিচে), যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং বিকাল নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপর পর্যন্ত উঠতে পারে।
অপরদিকে সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ২৮ দশমিক ১৫ মি. (বিপদসীমার ৬০ সে.মি. নিচে) যা বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোর নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে এবং পরবর্তীতে সর্বোচ্চ পানিসমতলের (৫২ দশমিক ৮৪ মি.) কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে।











