বৃহস্পতিবার | ৪ ডিসেম্বর | ২০২৫

গাজ্জার ইসরাইলপন্থী মিলিশিয়া গ্রুপের প্রধান আবু শাবাব অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে খুন

অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে খুন হলেন গাজ্জার ইসরাইলপন্থী মিলিশিয়া গ্রুপের প্রধান ইয়াসির আবু শাবাব।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইল মিলিটারী রেডিও ঘোষণা করেছে যে, রাফাহর পূর্বদিকে হামাস বিরোধী ইসরাইলপন্থী সশস্ত্র মিলিশিয়া গ্রুপের প্রধান ইয়াসির আবু শাবাব অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে খুন হয়েছেন।

ইসরাইলী সামরিক সূত্র জানায়, আবু শাবাবের নিহত হওয়া ইসরাইলের জন্য একটি দুঃসংবাদ। সে তার নিজ দলের একজন সদস্যের হাতে নিহত হয়েছে।

ইসরাইলী চ্যানেল, চ্যানেল-১২ তে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয় যে, আবু শাবাব পারিবারিক অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে সৃষ্ট আঘাতে আহত হয়ে সোরোকা হাসপাতালে মারা গেছেন।

আল জাজিরা প্রতিবেদক ফাতিমা খুমা’ইসী বলেন, আবু শাবাবের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত বিবরণ এখনো জানা যায়নি। প্রাথমিক যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা পরস্পরবিরোধী।

তিনি আরো বলেন, ইসরাইলী গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে যে, পপুলার ফোর্সেস অর্গানাইজেশনের নেতা হিসেবে পরিচিত ইয়াসির আবু শাবাবকে হত্যা করা হয়েছে। বিবরণ অনুযায়ী, তাকে হামাসের যোদ্ধারাই হত্যা করেছে।

প্রমাণ স্বরূপ তিনি ইসরাইল মিলিটারী রেডিওতে সামরিক সূত্রের বরাতে প্রচারিত তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, হামাসের কাছে আবু শাবাব সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো এবং তারা তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছিলো।।

সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ইয়াসির আবু শাবাব গত ৩০ মে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনায় আসেন, যখন হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ইসরাইলের মুস্তা’রিবীন ইউনিটের উপর হামলার ভিডিও প্রকাশ করে।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরাইলী বাহিনীর ওই দলটি রাফাহর পূর্ব সীমান্তের কাছে চলাফেরা করছে এবং ফিলিস্তিনিদের বাড়িতে তাণ্ডব ও নৃশংসতা চালাচ্ছে। এসময় মাইন পোঁতা একটি বাড়িতে বাহিনীটি প্রবেশ করলে কাসসাম যোদ্ধারা এর বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ওই বাহিনীটির বেশ কয়েকজন সদস্য হতাহত হয়।

এছাড়া ইয়াসির আবু শাবাব ও তার দল পপুলার ফোর্সেস অর্গানাইজেশন বিগত মাসগুলোতে ইসরাইলপন্থার কারণে কু-খ্যাতি লাভ করে। হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিন স্বাধীনতার সশস্ত্র সংগ্রামের বিরোধিতা করে। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে সর্বাত্মক ভাবে প্রতিহত করারও ঘোষণা দেয়। বিচ্ছিন্ন এই ঘটনাকে পশ্চিমা মিডিয়াগুলোও ফলাও করে প্রচার করে। এটি প্রমাণ করতে চেষ্টা করে যে, গাজ্জার জনগণ হামাস ও হামাস পরিচালিত স্বাধীনতার সশস্ত্র আন্দোলনকে সমর্থন করে না।

spot_img

সর্বশেষ

spot_img

এই বিভাগের

spot_img