খুলনায় অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া এরশাদ শিকদারের বিলাসবহুল সেই দোতলা বাড়ি “স্বর্ণকমল” ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে বাড়িটির একাংশের জানালা, ছাদ ও দেয়াল হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে ফেলছেন শ্রমিকরা।
হত্যাকান্ড, চাঁদাবাজি, দখল ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের দায়ে ১৯৯৯ সালে গ্রেফতার হন এরশাদ শিকদার। ২৪টি হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন এরশাদ সিকদারের দেহরক্ষী নুরে আলম। ২০০৪ সালে ১০ মে মধ্যরাতে খুলনা জেলা কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে এরশাদ শিকদারের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। এদিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মজিদ সরণিতে এরশাদ শিকদারের বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি “স্বর্ণকমল” নিয়েও নানা কল্পকাহিনি ছড়িয়ে আছে।
বাড়িটিতে গোপন কুঠুরি ও অস্ত্রভান্ডারের কথাও শোনা যায়। ওই বাড়ির বিভিন্ন গোপন স্থানে নগদ কয়েক কোটি টাকা লুকানো ছিল। প্রায়ই জলসা বসত বাড়িতে। শহরে নামিদামি ব্যক্তিরা যেতেন সেখানে। এরশাদ শিকদারের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষের আগ্রহের জায়গা ছিল “স্বর্ণকমল”।