হযরত মাওলানা মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর বিশিষ্ট খলিফা মাওলানা নুরুল হক আজমীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বার্তায় বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী ও মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী নুরুল হক আজমীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
শোক বার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, মাওলানা নুরুল হক আজমী ইসলাম ও কুরআন-সুন্নাহর একজন মজবুত আলেম ও একনিষ্ঠ খাদেম ছিলেন। তিনি বহু মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে দ্বীনের খেদমত করে গেছেন। তিনি চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে যে খেদমত করে গেছেন তা জাতির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর ইন্তেকালে জাতি একজন মুহাক্কিক আলেম ও মানব সেবককে হারালো।
নেতৃদ্বয় মহান আল্লাহ তা‘আলার দরবারে মরহুমের রূহের মাগফিরাত ও জান্নাতের উচ্চ মাকাম কামনা এবং তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, মাওলানা নুরুল হক আজমী রাজধানীস্থ স্কায়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছে প্রায় ৯০ বছর। তিনি অনেক দিন যাবত ডায়বেটিক, বার্ধক্য জনিত রোগসহ নানান রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি তিন ছেলে দুই মেয়ে রেখে যান।
মাওলানা নূরুল হক আজমী বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষীপুরের বাসিন্দা। জন্ম ১৯৩১ সালের ১ জানুয়ারি। তিনি ছিলেন এদেশের শ্রদ্ধাবান আলেমদের অন্যতম। হযরত হাফেজ্জী হুযুর রহ.-এর খলিফা হওয়ার পাশাপাশি ইসলামী রাজনীতেও মাওলানা নূরুল হক ছিলেন তার সহযোগী। হাফেজ্জী হুযুর রহ. তাকে দিয়ে রাজনৈতিক চিঠিপত্রসহ বিভিন্ন লেখা লেখাতেন।
একাধিক দ্বীনী কিতাবের রচয়িতা মাওলানা নূরুল হক আজমী। তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো, ‘দেওয়ানবাগীর আল্লাহ কোনপথে?’ ও ‘বিশ্ব সৃষ্টির মাঝে আল্লাহর অস্তিত্ব’।
ঢাকার কামরাঙ্গীরচর মাদবরবাজার জামে মসজিদ ও বাইতুর রহমান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন মাওলানা নূরুল হক। কেরাণীগঞ্জের বামনসুর মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন দীর্ঘদিন। এছাড়া নোয়াখালীতে মুহাম্মাদিয়া হাফিজুল উলূম মাদরাসা ও মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ছিলেন আজীবন।










