ভারতের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। তাই সরকার গঠনে জোট গড়ার কথা ভাবতে হচ্ছে দলগুলোকে। এ অবস্থায় ভারতের রাজনীতিতে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন মোদির জোটের বিহারভিত্তিক জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) প্রধান নেতা নীতিশ কুমার ও তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু।
অন্ধ্রপ্রদেশে তেলেগু দেশম জিতেছে ১৬ আসনে। অন্যদিকে, বিহারের জেডিইউ এর ঝুলিতে আছে ১২ আসন। টিডিপি ও জেডিইউ’র সম্মিলিত আসন ২৮।
বিজেপির এই জোট শরিকদের বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটও। আর এ কাজের দায়িত্ব পড়েছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধে।
জানা গেছে, নীতিশ কুমারকে উপপ্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স। বলা হচ্ছে, বিজেপির চেয়ে কংগ্রেসের কাছ থেকে বেশি সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা পেলে ভোল পাল্টাতে পারেন প্রবীণ দুই রাজনীতিবিদ। অতীতে তাদের সঙ্গী বদলের নজির রয়েছে।
শরিকদের ওপর নির্ভর বা তাদের ভরসায় রাজ্য বা কেন্দ্রে কোথাও সরকার চালানোয় অভ্যস্ত নন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মোদিকে শরিকদের ওপর নির্ভর করতে হবে। এই ব্যবস্থায় তিনি কতটা খাপ খাওয়াতে পারবেন, তা দেখার অপেক্ষা।











